নন্দন দত্ত, বোলপুর: বিশ্বভারতীর নানা অনিয়ম, একাধিক অধ্যাপক-অধ্যাপিকা ও পড়ুয়াকে সাসপেন্ড ও বরখাস্ত, প্রসঙ্গ তুলে ধরে রাষ্ট্রপতির কাছে ফের চিঠি লিখলেন ফ্যাকাল্টি অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার চিঠিতে অধ্যাপক সংগঠন দাবি করে, নিয়মকানুন ভেঙে কাজ করছেন বিশ্বভারতীর বর্তমান উপাচার্য।
এছাড়াও আর্থিক দুর্নীতি, কর্মীদের বরখাস্ত পেনশন-বেতন আটকে দেওয়া-সহ বহু অভিযোগ রয়েছে উপাচার্যর বিরুদ্ধে। অধ্যাপক কর্মীরা চরম উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। সব মিলিয়ে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন উপাচার্য। এই অবস্থার জরুরি প্রতিকারমূলক পদক্ষেপ করতে চিঠিতে রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ জানিয়েছেন ফ্যাকাল্টি অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা।
উল্লেখ্য, বিশ্বভারতীর অধ্যাপক সংগঠনের ওই চিঠিতে, ‘বর্তমান উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নিষ্ঠুর মনোভাবের জন্যই বিশ্বভারতীর পড়াশোনার পরিবেশ সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হচ্ছে’ বলে দাবি করা হয়েছে। এছাড়াও অধ্যাপক-কর্মীদের চাকরি থেকে অপসারণ, পদ থেকে অবনমন, বেতন বন্ধ, বাধ্যতামূলক অবসর, অবসরে সুবিধা বন্ধ-সহ ৪০০ জন কর্মচারীর উপর ‘দিনের পর দিন নিষ্ঠুর মনোভাবের জন্য অনেকেই পদত্যাগ করছেন অথবা মামলা দায়ের করছেন’ বলে অভিযোগ তাঁদের। ইতিমধ্যেই বিশ্বভারতীর উপাচার্যর আমলে প্রায় ১৪০টি মামলা চলছে। আদালতে মামলাগুলিতে কঠোরভাবে সমালোচিত হচ্ছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বলেও দাবি তোলা হয়।
[আরও পড়ুন: ছুটি কাটিয়ে বাড়ি থেকে ফিরতেই আদিবাসী ছাত্রীর রহস্যমৃত্যু, হস্টেলে মিলল ঝুলন্ত দেহ]
অন্যদিকে, বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর অপসারণ দাবি জানিয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিয়ে সরব হয়েছেন ফ্যাকাল্টি অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। অধ্যাপক সংগঠনের সভাপতি সুদীপ্ত ভট্টাচার্য জানান, ‘‘গত ২৮ মার্চ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে শান্তিনিকেতনের সফরে আসেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তার আগের দিনই বিশ্বভারতীর পরিদর্শক তথা রাষ্ট্রপতিকে বিশ্বভারতীর নানা প্রসঙ্গ তুলে ধরে অশান্তির বাতাবরণ, অবনমন বিষয়ে ইমেলে চিঠি দেওয়া হয়। চিঠি দেওয়ার পরপরই সাতজন অধ্যাপককে শোকজ করেন কর্তৃপক্ষ। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর অপসারণের দাবি জানিয়ে রাষ্ট্রপতিকে ফের চিঠি দিয়ে সরব হচ্ছেন সকলে।’’ যদিও এ বিষয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বারংবার যোগাযোগ করা হলেও কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি।