সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মানুষ বড় 'আমি' কেন্দ্রিক। চারপাশের পৃথিবীটাকে নিজের মতো করে দেখতেই ভালোবাসে। এই ভালোবাসা ততক্ষণ ভালো যতক্ষণ না তাতে সম্পর্কের ক্ষতি হচ্ছে। 'আমার আমার' করতে করতে 'আমাদের' ভুলে গেলেই বিপত্তি। মনের সুপ্ত হিংসুটে ভাবটা কখন যে আপনার সম্পর্কে ঘুণ ধরাতে শুরু করবে, নিজেই বুঝতে পারবেন না। হিংসুটে মনকে হালকা চালে নেবেন না। তাকে বশে রাখতে শিখুন। এর জন্য বেশ কয়েকটি বিষয়ে খেয়াল রাখতে হয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই চারটি।
আত্মসমীক্ষা করতে শিখুন। সঙ্গীর ভুল ধরার আগে নিজে ভেবে দেখুন আপনি তাঁর পরিস্থিতিতে থাকলে কী করতেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাবে আপনিও হয়তো একই কাজ করতেন। আপনি আপনার সবচেয়ে ভালো বন্ধু। তাই নিজেকে বন্ধুর মতোই বোঝান। আবার ভুল মেনে নিতেও জানতে হবে।
ছবি: সংগৃহীত
অনেক সময় হিংসা মনের ভিতরে এতটাই প্রভাব বিস্তার করে ফেলে মানুষ বুঝতেই পারে না সে কী করছে, কেনই বা তা করছে। এই রকম পরিস্থিতি তৈরি হলে কাছের এমন কোনও মানুষের কাছ থেকে পরামর্শ নিন, যাঁকে আপনি বিশ্বাস করতে পারবেন আর যিনি আপনার সম্পর্কের বিষয়ে খুব ভালোভাবে জানেন। আপনি যে ফাটল দেখতে পাচ্ছেন না, তা ওই ব্যক্তি অনায়াসেই দেখতে পাবেন। কারণ তিনি তৃতীয় ব্যক্তি।
[আরও পড়ুন: সিনেমা হল পাচ্ছে না ‘মির্জা’? নেটপাড়ার ‘হল্লা’ নিয়ে সাফ কথা অঙ্কুশের]
'বিশ্বাসে মিলায় বস্তু।' নিজের অবিশ্বাসকে অকারণে একদম পাত্তা দেবেন না। আবার নিজেকেও অবিশ্বাস করবেন না। প্রয়োজন হলে নিজের সম্পর্কের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একটা সমীক্ষা করুন। দেখবেন বিশ্বাসের অনেক কারণ খুঁজে পাবেন অতীতের সুন্দর মুহূর্তে। এমন হলে ঈর্ষার আর কোনও স্থানই থাকবে না।
ছবি: সংগৃহীত
হিংসে রাগের অন্যতম কারণ। আর রাগ হচ্ছে সম্পর্কের সবচেয়ে বড় শত্রু। অনেক ক্ষেত্রে ঘরোয়া হিংসারও কারণ। রাগের মাথায় কখন যে জীবনের সবচেয়ে বড় ভুলটি করে বসবেন ভাবতেও পারবেন না। তাই রাগ হলে নিজেকে সময় দিন। তার পর বিরক্তি কমলে ভাবুন আদৌ কি আপনার অবিশ্বাসের জায়গাটি যুক্তিযুক্ত? যদি তা নয় তাহলে তো হিংসারও কারণ নেই। হিংসাকে প্রশ্রয় না দিয়ে বরং নিজের ভাবনা চিন্তাকে উন্নত করুন। তাতেই ভালো থাকবেন।