বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত ও সুনীপা চক্রবর্তী: প্রয়াত বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার সুকুমার হাঁসদা (Sukumar Hansda)। কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি ছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ওই বেসরকারি হাসপাতাল সূত্রে খবর, কর্কট রোগ আগেই থাবা বসিয়েছিল তাঁর শরীরে। চিকিৎসা চলাকালীন করোনা আক্রান্তও হন তিনি। বেশ কিছুদিন যমে-মানুষে টানাটানির পরই হার মানলেন সুকুমার হাঁসদা। তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ রাজনৈতিক মহল।
সুকুমার হাঁসদার বাবা সুবোধ হাঁসদা কংগ্রেসের আমলে কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রী ছিলেন। বাড়িতে রাজনীতির পরিবেশ ছিল। তবে ছাত্রজীবন শেষ করে সুকুমার হাঁসদা রোগীদের সেবায় মনোনিবেশ করেছিলেন। ঝাড়গ্রাম হাসপাতালের চিকিৎসক ছিলেন তিনি। এরপর তৃণমূলের আমলে তিনি রাজনীতির আঙিনায় পা রাখেন। শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে ঘাসফুল শিবিরে আসা তাঁর। পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী ছিলেন তিনি। পরে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান হন। ঝাড়গ্রাম কেন্দ্র থেকে দু’বারের জয়ী বিধায়ক বর্তমানে বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার পদে ছিলেন।
[আরও পড়ুন: ফের রাজ্যে আসছেন নাড্ডা, নির্বাচনের আগে বাংলায় আসতে পারেন অমিত শাহও]
তবে ইদানীং তাঁর শরীর একেবারেই ভাল ছিল না। সম্প্রতি ক্যানসারে আক্রান্ত হন। কিছুদিন ভরতি ছিলেন এসএসকেএম হাসপাতালে। এরপর তাঁকে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। চিকিৎসা চলাকালীন তাঁর কোভিড টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। বেশ কয়েকদিন যমে-মানুষে চলে লড়াই। বৃহস্পতিবার সেই লড়াইয়ে হার মানেন। তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ রাজনৈতিক মহল। টুইটে শোকপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুকুমার হাঁসদার আত্মার শান্তি কামনা করেন। শোকস্তব্ধ পরিজনদের সমবেদনাও জানান।
এছাড়া বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান এবং সুজন চক্রবর্তীও সুকুমার হাঁসদার মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেন।