সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অডিও টেপ প্রকাশ করে তৃণমূলকে চাপে ফেলার পরিকল্পনা করেছিল বিজেপি। পালটা টেপ প্রকাশ করে গেরুয়া শিবির ও নির্বাচন কমিশনের যোগসাজশ নিয়ে প্রশ্ন তুলল রাজ্যের শাসকদল। শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে ভিডিও প্রকাশের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এর পরই তৃণমূলের তরফে নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিজেপি নেতা মুকুল রায় (Mukul Roy) ও শিশির বাজোরিয়ার কথোপকথন। যদিও তৃণমূলের তরফে ভাইরাল করা ভিডিওর সত্যতা সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল যাচাই করেনি।
ওই অডিও টেপে বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়ার উদ্দেশে মুকুলকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘নির্বাচন কমিশন কবে আসছে?’ উত্তরে শিশির জানান, ‘২১ তারিখ’। এরপরই মুকুল বলেন, ‘বুথের পোলিং এজেন্ট হওয়ার জন্য কোনও নির্দিষ্ট নিয়ম রাখলে চলবে না। পশ্চিমবঙ্গের যে কোনও ভোটার এজেন্ট হতে পারবেন। আমাদের এটা বলতে হবে।” ওই অডিওতে মুকুল বলেন, নাহলে পশ্চিমবঙ্গের যত বুথ আছে সেখানে এজেন্ট দেওয়া যাবে না। মুকুলকে আরও বলতে শোনা গিয়েছে, “যে স্লিপগুলো বিলি হচ্ছে না, সেগুলো অবজার্ভারের কাছে ফেরত দিতে হবে। এই দুটো পয়েন্ট করে রাখো।’ এই অডিও প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্যনেতা শিশির বাজোরিয়া বলেন, “আমরা কমিশনকে এ বিষয়ে ৩৬ পয়েন্টে একটা চিঠি দিয়েছিলাম। তাতে বুথ এজেন্ট প্রসঙ্গও ছিল। গণমাধ্যমেও বিষয়টি জানিয়েছিলাম।” এর পরই তাঁর প্রশ্ন, “এই অডিওটি তৃণমূলের হাতে কীভাবে গেল? তাহলে কী রাজ্যের গোয়েন্দারা আমাদের ফোন ট্যাপ করছে, আর সেই তথ্য তৃণমূলের হাতে তুলে দিচ্ছে?ঠ
[আরও পড়ুন : প্রথম দফায় ৯০% জায়গায় ভোট হয়েছে নির্বিঘ্নে, কমিশনকে ধন্যবাদ বিজেপি নেতাদের]
উল্লেখ্য, এতদিন নিয়ম ছিল, যে কোনও রাজনৈতিক দলের পোলিং এজেন্ট (Polling agent) হতে গেলে ওই বুথ এলাকা কিংবা পাশের বুথের বাসিন্দা হতে হয়। তবে এবার সেই নিয়মে কিছুটা রদবদল এনেছে নির্বাচন কমিশন। নয়া নিয়ম অনুযায়ী, এবার থেকে পোলিং এজেন্ট হতে গেলে কোনও নির্দিষ্ট বুথের নয়, ওই বিধানসভা কেন্দ্রের বাসিন্দা হলেই হবে। কোনও বুথে কোনও রাজনৈতিক দলের সংগঠন দুর্বল হলেও যাতে সবাই সব বুথে পোলিং এজেন্ট দিতে পারে, তা নিশ্চিত করা। শনিবার, বঙ্গের ভোট শুরুর দিন থেকে তাই সেই নিয়ম অনুযায়ী, বিভিন্ন বুথে দূরবর্তী কোনও বুথের পোলিং এজেন্ট বসছেন। ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে তিনি ‘বহিরাগত’ বলে প্রতিপন্ন হচ্ছেন। তৃণমূলের অভিযোগে, বিজেপি কমিশনকে নিয়ম বদলাতে প্রভাববিত করেছে। এদিন মুকুল-শিশিরের অডিও প্রকাশ করে এই অভিযোগ প্রমাণের চেষ্টা করল তৃণমূল।