সংগ্রাম সিংহরায়, শিলিগুড়ি: পাহাড়ে ৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করল বিনয় তামাংপন্থী গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা (GJM)। দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াংয়ে কে কে লড়বেন, দেখে নিন –
- দার্জিলিং থেকে প্রার্থী হয়েছেন বিনয়পন্থী মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কেশবরাজ পোখরেল।
- কার্শিয়াং থেকে লড়বেন শিরিং দাহাল।
- কালিম্পংয়ে মোর্চার প্রার্থী রুদেন লেপচা।
রবিবার দার্জিলিংয়ের মংপু খেলার মাঠ থেকে জনসভা করে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করলেন মোর্চার সভাপতি বিনয় তামাং (Binay Tamang)। পাশাপাশি উন্নয়নের একগুচ্ছ ফিরিস্তি দিয়ে নির্বাচনী ইস্তেহারও প্রকাশ করেছেন তাঁরা। অন্যদিকে, গুরুংপন্থী মোর্চা নেতৃত্বও পালটা প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। আগামী ২৩ তারিখ তাঁরা প্রার্থী ঘোষণা করবেন। উভয় শিবিরেরই দাবি, শাসকদল তৃণমূলের সমর্থন রয়েছে তাদেরই সঙ্গে।
গত ৫ তারিখ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) রাজ্যের ২৯৪ টি আসনের মধ্যে ২৯১ টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছেন। পাহাড়ের তিনটি আসন ছেড়ে দিয়েছিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চাকে। গুরুং পরবর্তী মোর্চায় এই মুহূর্তে সভাপতি বিনয় তামাং কার্যত তৃণমূলের ছত্রছায়ায় দলের রাশ ধরেছেন। ফলে বিনয়পন্থীদের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে সুসম্পর্ক। তাই ওখানকার তিনটি আসন মোর্চাদের জন্য ছাড়ে তৃণমূল। বেশ খানিকটা সময় নিয়ে, নিজেদের মধ্যে আলোচনার পর রবিবার প্রার্থী ঘোষণা করেছেন বিনয় তামাং। জনসভা থেকে তিনজনের নাম ঘোষণার পর বিনয় তামাং বলেন, ”পাহাড়ে আমরা এককভাবে প্রচার করব। তৃণমূলের সঙ্গে কোনও প্রচার মঞ্চ ভাগ করব না। তবে সমতলে আমরা অবশ্যই তৃণমূলের প্রার্থীদের হয়েও প্রচার করব। এটা আমাদের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে। প্রকাশ্যে আর কিছু বলব না।”
[আরও পড়ুন: রাগ গলে জল, বিভেদ ভুলে সায়ন্তিকাকে বরণ করে নিলেন শম্পা দরিপা]
অন্যদিকে, বিমল গুরুংপন্থীরাও তৃণমূলের সমর্থন নিয়েই প্রার্থী দেবেন বলে সাফ জানিয়েছেন। মোর্চা কেন্দ্রীয় কমিটির গুরুংপন্থী সদস্য বিনীতা রোকা জানিয়েছেন, ”আমাদের সঙ্গে তৃণমূলের সমর্থন আছে। ২৩ তারিখ আমরা প্রার্থী ঘোষণা করব। তাঁদের হয়েই প্রচার করব।” তাহলে বিনয়পন্থী নাকি গুরুংপন্থী? একুশের ভোটে পাহাড়ের কাদের সমর্থন করবে তৃণমূল? এ বিষয়ে কোনও উত্তর মেলেনি তাঁদের তরফে। কার্শিয়াং থেকে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তা ছেত্রী জানিয়েছেন, ”এ বিষয়ে আমরা কিছু জানি না। যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার, রাজ্য নেতৃত্ব দেবে। আমরা আমাদের মতো করে তৃণমূল প্রার্থীদের হয়ে প্রচার করে যাব।” এখন ২৩ তারিখ দার্জিলিং, কার্শিয়াং, কালিম্পংয়ের জন্য পৃথক প্রার্থী ঘোষণা করবে গুরুংপন্থীরা। তারপর পাহাড়ের লড়াই আরও জমজমাট হয়ে উঠবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।