ধীমান রায়, কাটোয়া: ‘দুলহা কৌন হ্যায়?’ রীতিমতো শ্লেষের সুরে বিজেপির (BJP) উদ্দেশে প্রশ্ন ছুঁড়লেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল তো বিজেপি, কিন্তু তাদের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে? এই প্রশ্ন তুলে সোমবার পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারে নির্বাচনী জনসভায় গেরুয়া শিবিরকে বিঁধলেন তিনি। পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্ৰাম, মঙ্গলকোট, আউশগ্রাম এবং ভাতার – এই চার বিধানসভা কেন্দ্রে সোমবার জনসভা করেন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । সবশেষে ভাতার বাজার সংলগ্ন মাঠে দলীয় প্রার্থী মানগোবিন্দ অধিকারীর সমর্থনে জনসভায় আসেন তিনি। পূর্ব বর্ধমান জেলার ৮ আসনের ভোটের প্রচারের শেষ দিনে কখনও করোনা পরিস্থিতি, কখনও পেট্রোল, ডিজেল, রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন অভিষেক। তুলে ধরেন রাজ্যের উন্নয়নের খতিয়ানও।
জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে অভিষেক বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে থেকে যা যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছিলেন, তার একটাও রক্ষা করেননি। সম্পূর্ণ ভাঁওতাবাজি করেছে দেশবাসীর সঙ্গে। দিদির প্রতিশ্রুতি ডিভিডি, চোখে দেখা যায় আর কানেও শোনা যায়। মোদির প্রতিশ্রুতি ভাঙা ক্যাসেট। শুধু কানে বাজে। চোখে দেখা যায় না।”
[আরও পড়ুন: ভোট চলাকালীন ফের রদবদল রাজ্য পুলিশে, বীরভূমের পুলিশ সুপারের দায়িত্বে নগেন্দ্র ত্রিপাঠী]
এদিন ভাতারের সভায় প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করে অভিষেক বলেন, “আপনাদের তো বহিরাগত বললে রাগ হয়। আচ্ছা বলুন বাংলায় আপনাদের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে? দুলহা কৌন হ্যায়?” অভিষেকের কথায়, “বিয়ের ঠিক হয়ে গিয়েছে। অথচ ওরা জানেই না বর কে? ওরা শুধু বলছে, এখানকার ভূমিপুত্র মুখ্যমন্ত্রী হবে। যদি একজনেরও নাম করতে পারে, তাহলে বহিরাগত বলব না। আসলে ওরা জানে, ২০০র বেশি আসন জিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হবেন। তাই নিজেদের নেতাদের মধ্যে আর ঝামেলা লাগাতে চাইছে না।”
[আরও পড়ুন: ১৩ মে সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরে নির্বাচন নিয়ে কমিশনের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ মমতার]
শীতলকুচিতে ভোটের দিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যুর প্রসঙ্গ তুলে অভিষেক বলেন, “যারা বাঙালিদের হত্যা করে বাংলা দখল করতে চাইছে, তাদের বাংলা থেকে বিতাড়িত করতে হবে। ২ মে’র পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক খুঁজে বের করবেন শীতলকুচিতে নিরীহ ৫ জনের হত্যাকারীদের। তাদের সাজা হবে।” রাজ্যে করোনা সংক্রমণ উত্তরোত্তর বেড়ে চলায় উদ্বেগপ্রকাশ করে অভিষেক বলেন,”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়েছিলেন, বাকি তিন দফার ভোট একদিনে করে দেওয়া হোক। বহিরাগতদের অসুবিধার জন্য করা হয়নি। দেখছে, ডেলিপ্যাসেঞ্জারি করতে পারবে না। নির্বাচন কমিশন তাই করছে, যা বিজেপি চাইছে।”