অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: ভোট পরবর্তী হিংসা ছড়াল হাওড়ার (Howrah) চ্যাটার্জিহাটে। রাতভর তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষ সামাল দিতে পুলিশকেও যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। ঘটনার সূত্রপাত শনিবার সন্ধেবেলা। অভিযোগ, চ্যাটার্জিহাটের তৃণমূল (TMC) নেতা তথা ‘জয় হিন্দ’ বাহিনীর প্রধান পার্থ বসুকে লাগাতার আগ্নেয়াস্ত্র-সহ প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন এক বিজেপি কর্মী। প্রতিবাদে রবিবার সকালে চ্যাটার্জিহাট থানার সামনে পথ অবরোধ করেন তৃণমূল কর্মী, সমর্থকরা। বিজেপির আবার পালটা অভিযোগ, থানার সামনে বিজেপি কর্মীকে মারধর করা হয়। ওঠে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ।
শনিবার, চতুর্থ দফায় হাওড়ার ৯ টি আসনে ছিল ভোট। বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া মোটের উপর শান্তিপূর্ণভাবেই মিটেছে ভোটপর্ব। তবে ভোট মিটতেই সন্ধে থেকে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে চাপা অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ, গত প্রায় দিন ১৫ ধরে লাগাতার তৃণমূল নেতা পার্থ বসুকে ফোনে হুমকি দিচ্ছে বিজেপি (BJP) কর্মী শুভ। বেশ কয়েকবার থানায় অভিযোগ জানানো হলেও থানা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। তৃণমূলের আরও অভিযোগ, বিজেপির ওই কর্মীর বিরুদ্ধে। আগ্নেয়াস্ত্র-সহ ভোটের দিন বাইক বাহিনী নিয়ে এলাকায় ঘুরে বেড়িয়েছে। সন্ধেবেলাও তারা বাইক নিয়ে টহল দিয়েছে এলাকায়।রবিবার সকালে ওই বিজেপি নেতা পার্থবাবুকে তাঁর ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে রাস্তায় ডাকেন। এরপরই নিরাপত্তার স্বার্থে তৃণমূল নেতা ও কর্মীরা থানায় যান।
[আরও পড়ুন: ‘ক্ষমতায় এলে প্রথমেই শীতলকুচির পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে, কেউ রেহাই পাবে না’, হুঁশিয়ারি অভিষেকের]
রবিবার সকালে চ্যাটার্জিহাট থানার সামনে শরৎ চ্যাটার্জি রোড অবরোধ করে তৃণমূল। বিজেপি আবার পালটা অভিযোগ করে, থানার সামনেই তৃণমূল কর্মীরা তাঁদের সদস্যকে মারধর করে। তাতে নিষ্ক্রিয় ছিল পুলিশ। এ নিয়ে অশান্তি আরও ছড়িয়ে পড়ে। তৃণমূলের দাবি, শক্তিপদ রুইদাস নামে এক পুলিশ কর্মী ওই বিজেপি কর্মীকে ডেকে সতর্ক করে দিয়েছেন। তাতেই তাঁরা বিজেপি ও পুলিশের মধ্যে আঁতাঁতের অভিযোগে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন তৃণমূল কর্মীরা।