কলহার মুখোপাধ্যায়, বিধাননগর: শনিবার, পঞ্চম দফা ভোটের দিন শহর লাগোয়া তথাকথিত অভিজাত এলাকা সল্টলেক (Salt Lake) থেকেই সবচেয়ে বেশি অশান্তির খবর মিলছিল। ভোটপর্ব মিটলেও শান্ত হয়নি বিধাননগর কেন্দ্র। রাতের দিকে রাজনৈতিক সংঘর্ষের পর রবিবার সকাল থেকেই ফের অশান্ত হয়ে ওঠে দত্তাবাদ এলাকা। তৃণমূল-বিজেপি (TMC-BJP), একে অপরের বিরুদ্ধে হামলা, মারধরের অভিযোগে প্রতিবাদ শুরু করেন দলীয় কর্মী, সমর্থকরা। ভোট হয়ে যাওয়ার পরও ফের অশান্তি ছড়ানোয় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকাবাসী।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার সকাল ১০ টা নাগাদ ফের নতুন করে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূল-বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের সদস্যদের অভিযোগ, তাঁদের কয়েকজন কর্মীকে এলাকা ছাড়ার হুমকি দিয়ে মারধর করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। প্রতিবাদে বিজেপি সমর্থকরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির বাধে। তৃণমূলের আবার পালটা অভিযোগ, সকালে বিনা প্ররোচনায় বিজেপি দুষ্কৃতীরা তাঁদের সদস্যদের উপর হামলা চালায় দল বেঁধে।স্থানীয় কাউন্সিলরের বাড়ির সামনে জড়ো হয়েছিলেন তৃণমূল কর্মীরা। সেসময় চলে হামলা। বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন ৯ জন। তাঁদের মধ্যে একজনের আঘাত বেশি হওয়ায় তাঁকে বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: বিমানবন্দরে কড়াকড়ি! কলকাতায় যাতায়াতের জন্য বাধ্যতামূলক কোভিড রিপোর্ট]
ভোটের দিন অর্থাৎ শনিবার রাতেও একই রকম সংঘর্ষ হয়েছিল দত্তাবাদে। পরিস্থিতি সামলাতে সেখানে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী, কেন্দ্রীয় বাহিনী। সারারাত চলে টহলদারি। সকালের দিকে তাঁরা ফিরে যাওয়ায় ফের অশান্তি চরমে ওঠে। তবে কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশ ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনে। তৃণমূল ও বিজেপি একে অপরের বিরুদ্ধে অশান্তি বাঁধানোর অভিযোগ দায়ের হয়েছে বিধাননগর (দক্ষিণ) থানায়। এই মুহূর্তে এলাকায় মোতায়েন ব়্যাফ (RAF), পুলিশ। থমথমে দত্তাবাদ এলাকা। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।