বাবুল হক, মালদহ: ১২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও মালদহের গুলিকাণ্ডে অধরা অভিযুক্তরা। মালদহ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুলিবিদ্ধ বিজেপি (BJP) প্রার্থী গোপালচন্দ্র সাহা। আড়াইঘণ্টা অস্ত্রোপচারের পর গুলি বের করা হয়। আপাতত তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। প্রকাশ্য। সভায় বিজেপি প্রার্থীর গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে।
দলীয় প্রার্থী গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার রাতেই চেঁচু মোড়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে বিক্ষোভ দেখায় যুব মোর্চার কর্মী-সমর্থকরা। টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন তাঁরা। এদিকে খবর পেয়ে রাতেই হাসপাতালে যান জেলার নির্বাচনী আধিকারিক তথা জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র। তিনি চিকিৎসকদের সঙ্গে কথাও বলেন। তারপরই গোপালচন্দ্রকে রেফার না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এদিকে আজ মালদহে যাচ্ছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা অরবিন্দ মেনন, সায়ন্তন বসু। বিজেপি প্রার্থীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন বলে খবর।
[আরও পড়ুন : চাকদহের পর এবার কালনা, ভোটের মরশুমে ফের ‘খুন’ বিজেপি কর্মী]
মালদহে বিধানসভা আসনে ভোট আগামী ২৯ এপ্রিল। অর্থাৎ শেষ দফায়। এলাকায় তাই ভোট প্রচারে ব্যস্ত প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের নেতারা। সেরকমই এদিন পুরাতন মালদহের সাহাপুর এলাকায় সভা করছিলেন বিজেপি প্রার্থী গোপালচন্দ্র সাহা। খুব বড় সভা না হলেও সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। এছাড়া ছিলেন স্থানীয়রা। আর তখনই সেখানে আসেন দুজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। তারাই আচমকা গুলি চালায় গোপালচন্দ্র সাহার উদ্দেশে। মুহূর্তে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। অন্যদিকে, দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায় ঘটনাস্থল থেকে। এরপরই বিজেপি প্রার্থীকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসা হয়। এই ঘটনায় ওই এলাকায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ জোগারের চেষ্টা চালাচ্ছে তারা।
[আরও পড়ুন : ভরা সভায় বিজেপি প্রার্থীকে লক্ষ্য করে গুলি, চাঞ্চল্য মালদহে]
এই ঘটনাটির জন্য কারা দায়ী? পুলিশ আধিকারিকরা এই প্রসঙ্গে মুখ না খুললেও বিজেপির জেলা সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র মণ্ডল এই ঘটনার জন্য সরাসরি তৃণমূলের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। তাঁর মতে, এই ঘটনার জন্য তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই দায়ী। যদিও শাসকদলের পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।