রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: এতদিন ছিলেন তৃণমূলের (TMC) ভোটকুশলী। এবার সরাসরি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কেন্দ্র ভবানীপুরের ভোটার হলেন প্রশান্ত কিশোর। ভবানীপুরের ভোটার তালিকায় রয়েছে তাঁর নাম। আর এ নিয়ে ইতিমধ্যে সমালোচনা শুরু করেছে বিজেপি। পিকে-কে ‘বহিরাগত ভোটার’ বলেও কটাক্ষ করছে গেরুয়া শিবির। যদিও প্রশান্ত কিশোর শিবিরের দাবি, উপনির্বাচন নয়, বাংলার বিধানসভা ভোটের আগেই ভোটার তালিকায় নাম তুলেছেন তিনি।
শনিবার রাতে ভবানীপুরের ২২২ নম্বর পার্টের ভোটার তালিকার একটি ছবি ভাইরাল হয়। দেখা যায়, সেখানে ভোটার হিসেবে নাম রয়েছে প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishore)। ভবানীপুরের সেন্ট হেলেন স্কুল তাঁর ভোট কেন্দ্র। তবে উপনির্বাচনের আগেই তিনি ভোটার তালিকায় নাম তুলেছেন কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। কারণ, ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা গিয়েছে, ভোটার তালিকায় তাঁর নাম সংযোজিত হয়েছে ২০২১ সালের ১৫ জানুয়ারি থেকে ৭ এপ্রিলের মধ্যে। অর্থাৎ একুশের বিধানসভা মহারণের আগেই ভবানীপুর কেন্দ্রের ভোটার হয়েছিলেন প্রশান্ত কিশোর।
[আরও পড়ুন: না বুঝে আয়কর দপ্তরের নামে মেসেজে সাড়া দিচ্ছেন? সাবধান, এভাবেই টাকা হাতাচ্ছে জালিয়াতরা]
তবে পিকে-র ভবানীপুর কেন্দ্রের ভোটার হওয়া নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষ করেছে গেরুয়া শিবির (BJP)। রাজ্য বিজেপি-র মুখপাত্র সপ্তর্ষি চৌধুরী টুইটারে লেখেন, “অবশেষে প্রশান্ত কিশোর ভবানীপুরের ভোটার৷ বাংলার মেয়ে কি তবে বহিরাগত ভোটার চায়?” অবশ্য এ নিয়ে তৃণমূলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি। দলীয় সূত্রে খবর, পিকে যে এই কেন্দ্রের ভোটার তা আগে থেকেই জানত তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে গতবার ভোট দেননি পিকে। এবার তিনি ভোট দেন কিনা, তা দেখার।
[আরও পড়ুন: WB Bypolls: ভবানীপুরের ঘরে-ঘরে পৌঁছতে নয়া কৌশল ‘ঘরের মেয়ে’ মমতার, পাঠাচ্ছেন ‘গ্রিটিংস কার্ড’]
প্রসঙ্গত, ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের পরই তৃণমূলের পরামর্শদাতা হিসেবে যোগ দেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। ভোটযুদ্ধে তৃণমূলকে উতরেও দিয়েছেন তিনি। এর পরই অবশ্য সেই দায়িত্ব ছেড়েছেন তিনি। তবু একাধিকবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁকে বৈঠক করতে দেখা গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনায় বসতে দেখা গিয়েছে পিকে-কে। এর মধ্যে ভবানীপুরের ভোটার তালিকায় তার নাম ঘিরে বাড়ল জল্পনা।