গৌতম ব্রহ্ম: গঙ্গাসাগর মেলায় কেউ নাশকতা ছড়াতে পারে, আশঙ্কা প্রকাশ করে আরও সতর্ক হওয়ার বার্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। যাতে কোনও পুণ্যার্থী স্টোভ কিংবা বন্দুক হাতে মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে না পারেন, সেদিকেও নজর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
বুধবার নবান্নের সভাগৃহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে গঙ্গাসাগর প্রস্তুতি বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে একাধিক সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনার ফাঁকে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীকে জানান, ছোট ছোট তাঁবুতে বহু পুণ্যার্থী খাবারদাবার তৈরি করার জন্য আগুন জ্বালান। তার থেকে অগ্নিকাণ্ডের সম্ভাবনা থাকে। যাতে আগুন জ্বালানো না হয়, সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। একথা শোনার পরই মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, মেলায় কোনও পুণ্যার্থী যাতে স্টোভ বা বন্দুক নিয়ে ঢুকতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে। একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পুণ্যার্থীদের জন্য খাবারের বন্দোবস্ত করে। তাই আলাদা করে খাবার তৈরি করার কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: বাংলার অতীতের রহস্যকে ছুঁয়ে দেখার সুযোগ! কপালকুণ্ডলা মন্দির ঘিরে এবার পর্যটন সার্কিট]
তাঁর কথায়, “দু’জন খারাপ কাজ করবে, তার ফল ভুগতে হবে ২০০ জনকে। কেউ বন্দুক বা স্টোভ নিয়ে না মেলায় ঢোকেন সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সিসিটিভিতেও দেখে নেবে।” গঙ্গাসাগর মেলায় নাশকতার আশঙ্কাও করেন অনেকে। মুখ্যমন্ত্রীর মতে, “অনেকেই নাশকতা, দাঙ্গা করার পরিকল্পনা করবে। সেগুলি ভেঙে দিতে হবে। গোটা দেশ থেকে লাখ লাখ পুণ্যার্থী আসবেন। রাজ্য-কেন্দ্র মিলে কাজ করতে হবে। সকলকে নিরাপত্তা দিতে হবে।”
নিরাপত্তার স্বার্থে গঙ্গাসাগর মেলায় একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন। নিরাপত্তার দিকে নজরদারিতে থাকবে মেগা কন্ট্রোলরুম। মেলা প্রাঙ্গণ জুড়ে থাকবে ১১৫০ সিসিটিভি। ড্রোনেও চলবে নজরদারি।গঙ্গাসাগর মেলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা যাতে না ঘটে তাই ১০টি অস্থায়ী দমকল কেন্দ্র তৈরি করা হবে। থাকবে ২৫টি ইঞ্জিন।