সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিরোধীরা কঠিন সময়ে স্রেফ রাজনীতি করছেন। ভয়ে তিন মাস বাড়ি থেকে বের হয়নি তাঁরা। শুক্রবার নাম না করে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বকে একহাত নিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “ভয়ে তিন মাস সবাই মুখে লিউকোপ্লাস্ট লাগিয়ে বাড়ির পিছনে ভিডিও কর্নারে লুকিয়ে ছিলেন।মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে শুধু রাজনীতি করছেন।” একইসঙ্গে কেন্দ্র অপরিকল্পিতভাবে পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্য পাঠানোয় রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
শুক্রবার হরিশ পার্কে কলকাতার সবুজায়ন অনুষ্ঠানে যোগ দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে রাজ্যের কঠিন পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খোলেন মমতা। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কথায়,” তিনমাস কোনও আয় নেই। শুধু ব্যয় হচ্ছে। তারপরেও রাজ্যের প্রতিটি কর্মচারীদের কাছে মাস পয়লায় বেতন দিচ্ছি।” কেন্দ্র সরকারকে একহাত নিয়ে তিনি বলেন, “কেন্দ্র তো সাংসদদের ৩০ শতাংশ বেতন কেটে নিয়েছে। সাংসদ তহবিলের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা তো তা করিনি। উলটে পরিযায়ী শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনার ট্রেন ও বাসভাড়া আমরা দিয়েছি।”
[আরও পড়ুন : ভদ্রেশ্বর থানা ঘেরাওয়ে বাধা, গাড়ি আটকানোয় পুলিশের সঙ্গে বচসা সায়ন্তনের]
কেন্দ্র সরকার অপরিকল্পিতভাবে পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে পাঠাচ্ছেন বলে এদিন ফের সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “কেন্দ্র তো অপরিকল্পিতভাবে পরিযায়ী ভাইবোনদের রাজ্যে পাঠাচ্ছে। রাজ্যে পাঠানোর আগে না তাঁদের ঠিক করে খেতে দেওয়া হয়েছে। না চিকিৎসা করা হয়েছে। অনেকেই তো অসু্স্থ। তাঁরা ট্রেনে আসার সময়ই মারা যাচ্ছেন।” এরপরই নাম না করে বিজেপিকে একহাত নেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন : রেললাইন ধরে হাঁটার সময় বালি হল্টের কাছে ইঞ্জিনের ধাক্কা, যুবকের চোখের সামনে মৃত্যু মা ও বোনের]
মমতার কথায়,” কেউ কেউ এমন পরিস্থিতিতেও রাজনীতি করছেন। বলছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে গদিচ্যুত করে আমাদের ক্ষমতায় নিয়ে আসুন। এটা কি রাজনীতি করার সময়? তার চেয়ে রাজ্যের মানুষের হয়ে কাজ করুন না। গাছ লাগান, পুকুর পরিষ্কার করুন। সে সব তো করবেন না।” এরপর বিরাধীদের কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ভয়ে তিন মাস সবাই মুখে লিউকোপ্লাস্ট লাগিয়ে বাড়ির পিছনে ভিডিও কর্নারে লুকিয়ে ছিলেন। আমরা মানুষের পাশে থেকেছি।”
The post ‘ভয়ে তিনমাস মুখে লিউকোপ্লাস্ট লাগিয়ে লুকিয়ে ছিলেন’, নাম না করে বিজেপি নেতৃত্বকে তোপ মমতার appeared first on Sangbad Pratidin.