রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: রাজ্যে ক্ষমতায় এলে বিনামূল্যে করোনা ভ্যাকসিন (Corona vaccine) দেওয়ার কথা ঘোষণা করল বিজেপিও (BJP)। পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে শুক্রবার সকালেই এই ঘোষণা করে একটি পোস্ট করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির ছবি দেওয়া ওই পোস্টে লেখা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গেই কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রত্যেককে বিনামূল্যে সরবরাহ করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল ভাষণ শুরুর আগে শুক্রবার শহিদ মিনারের মঞ্চ থেকে রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়ও ঘোষণা করেন, বাংলায় বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এসেই বিনামূল্যে কোভিডের ভ্যাকসিন দেবে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছিলেন, রাজ্যবাসীকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। ৫ মে থেকে রাজ্যের আঠারোর্ধ্ব নাগরিকদেরও দেওয়া হবে করোনা টিকা। তার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই বিজেপি প্রতিশ্রুতি দিল, পশ্চিমবঙ্গে সরকার তৈরি করে তারাও বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেবে। কেন্দ্রের ভ্যাকসিন নীতি নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টিকার মূল্য বৈষম্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া, বাংলার ভাগের অক্সিজেন অন্য রাজ্যে পাঠিয়ে দিচ্ছে কেন্দ্র। এই অভিযোগও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পালটা জবাব দিয়ে কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, আয়রন ইন্ডাস্ট্রি অক্সিজেন তৈরি করে। পশ্চিমবঙ্গে কত স্টিল ইন্ডাস্ট্রি আছে, তার কথা রাজ্যই জানে না।
[আরও পড়ুন: বেলগাছিয়ায় বিজেপি প্রার্থীর উপর হামলা, চলল গুলি, কাঠগড়ায় তৃণমূল]
বিনামূল্যে টিকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে করোনা ও ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছে বিজেপি নেতারা। শমীক ভট্টাচার্যর কটাক্ষ, মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেবেন। কিন্তু তৃণমূল তো আর ক্ষমতায় আসছে না। তাই মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছাটা বিজেপিই পূরণ করে দেবে। তিনি বলেন, ভ্যাকসিন, অক্সিজেনের অভাব নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করছেন শুধু রাজনীতি করার জন্য। রাজ্যকে শমীকের পালটা প্রশ্ন, কেন কোভিড মোকাবিলায় গত এক বছরেও পরিকাঠামো গড়ে তোলা যায়নি। কেন অক্সিজেনের জোগান নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক বা প্রধানমন্ত্রীকে জানাননি মুখ্যমন্ত্রী?এদিকে, বিজেপির এই ঘোষণাকে হাতিয়ার করে পালটা আসরে নেমেছে তৃণমূলও। এই ঘোষণার পরপর তৃণমূলের অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডল থেকে ‘ভারতীয় জুমলাবাজ পার্টি’ বলে ফের তোপ দেগেছেন ডেরেক ও ব্রায়েন। সঙ্গে তাঁর একটি বক্তব্যও টুইট করা হয়েছে।