সুদীপ রায় চৌধুরী ও নন্দন দত্ত: মহেশতলা, এগরা, বজবজ, দুবরাজপুর। একের পর এক প্রাণঘাতী বিস্ফোরণের ঘটনায় আতঙ্ক বেড়েছে। বেআইনি বাজি কারখানা নিয়ে রাজ্য সরকারে উপর চাপ বাড়িয়েছে বিরোধীরা। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যের বাজি শিল্প নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে বিশেষ কমিটি গঠনের পরিকল্পনা করেছে নবান্ন।
মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে রাজ্য়ের মন্ত্রী ফিরহাহ হাকিম জানিয়েছেন, মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদীর নেতৃত্বে বিশেষ কমিটি গঠন হবে। মুখ্যসচিব ছাড়াও কমিটিতে থাকবেন অর্থ, দমকল, পরিবেশ, নগরোন্নয়ন ও স্বরাষ্ট্র দপ্তরের সচিবও। রাজ্য়ের কোন কোন জেলায় বাজি কারখানা রয়েছে, এর মধ্যে কোনগুলি আইনি ও কতগুলি অবৈধ কারখানা তা খতিয়ে দেখা হবে। কোন কারখানায় কত জন কাজ করেন তার খতিয়ানও তৈরি করবে এই কমিটি। দু’মাস পর মন্ত্রিসভার কাছে রিপোর্ট জমা করবে কমিটি। তা খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
[আরও পড়ুন: CBI তলব নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে অভিষেকের মামলা, শুক্রবার শুনানি]
এগরার বিস্ফোরণের পর থেকেই জেলায় জেলায় বেআইনি বাজির বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। তা নিয়ে বাজি ব্যবসায়ীদের একাংশের মধ্য়ে ক্ষোভ রয়েছে। আবার বাজি কারখানা পুরোপুরি বন্ধ করে দিলে বহু মানুষ কাজ হারাবে। সে কথা মাথায় রেখেই বাজি কারখানার ক্লাস্টার তৈরির পরিকল্পনা করেছে নবান্ন। এর জন্য প্রয়োজনে জমি দেখার ভার দেওয়া হয়েছে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বাধীন কমিটিকে। সেখানে গ্রিন বাজির কারখানা তৈরির ব্য়বস্থা করা হবে। থাকবে উপযুক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। যাতে কোনও বিপদ না ঘটে।
সম্প্রতি এগরার বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ১২ জন, বজবজে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিন বীরভূমের দুবরাজপুরে এক তৃণমূল নেতার নির্মীয়মান বাড়িতেও বিস্ফোরণ হয়েছে। পদুমা পঞ্চায়েতের ঘোড়া পাড়া গ্রামের তৃণমূল নেতা সেখ সফিকের বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের ফলে বাড়ির সিঁড়ি ঘর উড়ে যায়। বিস্ফোরণের ফলে কেঁপে ওঠে এলাকা। জানা গিয়েছে, বাড়ির সিঁড়ি ঘরে শতাধিক বোমা রাখাছিল।