দীপঙ্কর মণ্ডল: তিনদিনের সফরে দিল্লি গিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (WB Governor Jagdeep Dhankar)। সাক্ষাৎ সারছেন একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। এবার বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ রাষ্ট্রপতি ভবনে যাচ্ছেন সস্ত্রী জগদীপ ধনকড়। দেখা করবেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের (President Ramnath Kovind) সঙ্গে। এদিন সকালে নিজেই টুইট করে সে কথা জানিয়েছেন রাজ্যপাল। কেন এই সাক্ষাৎ, সে সম্পর্কে অবশ্য তিনি কিছুই জানাননি।
তৃতীয়বারের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার শপথ নেওয়ার পর থেকেই রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্যপাল। বাংলায় মানবাধিকার ভূলুন্ঠিত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এ নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও রাজ্যপালকে চিঠি দিয়েছেন।থ ৫০ জন বিধায়ককে নিয়ে ধনকড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎও করেছেন। তার পরই দিল্লি সফরের ঘোষণা করেন রাজ্যপাল। সেই সফরের দ্বিতীয়দিনে আচমকাই রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার কথা জানালেন তিনি। তাঁর এই সাক্ষাৎ ঘিরে রাজনৈতিক মহলের জল্পনা তৈরি হয়েছে।
[আরও পড়ুন: Corona নিয়ে আলোচনায় বাধা BJP সাংসদদের, PAC থেকে ইস্তফার প্রস্তাব অধীরের]
উল্লেখ্য, তিনদিনের সফরে দিল্লি গিয়েছেন বাংলার রাজ্যপাল। অথচ দিল্লিতে তাঁকে তলব করেননি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এরপরেও কেন তিনি হঠাৎ করে রাজধানীতে? সেই নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। একটি মহলের বক্তব্য অনুযায়ী, রাজ্যের ভোট পরবর্তী বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পারেন। যদিও বুধবার তার কোনওটাই হয়নি। বুধবার ছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক। সেখানে ব্যস্ত থাকায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সময় পাননি তিনি। তবে সকালে সংসদ বিষয়ক ও কয়লামন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীর বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। টুইট করে নিজেই সেই কথা জানান। যদিও টুইটে যোশীকে উল্লেখ করেন কেন্দ্রীয় কয়লামন্ত্রী হিসাবে।
[আরও পড়ুন: কোভিড টিকাকরণে দেশে একনম্বর বাংলা, জানাল কেন্দ্র]
এদিন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি ও পর্যটনমন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেলের সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। যান সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি তথা জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রধান অরুণকুমার মিশ্রর বাড়ি। টুইটে এই বৈঠককেও সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ বলেই দাবি করেন বাংলার রাজ্যপাল। সূত্রের খবর, বাংলায় ভোট পরবর্তী বিভিন্ন হিংসার ব্যাপারে মানবাধিকার কমিশনের কর্তাকে হস্তক্ষেপ করার কথা বলেছেন রাজ্যপাল। এরপর আজ সরাসরি রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হচ্ছেন রাজ্যপাল। এ কি নেহাতই সৌজন্য সাক্ষাৎ নাকি এর পিছনে কোনও গূঢ় রাজনৈতিক কারণ রয়েছে, তা নিয়ে জল্পনা চলছেই। সাক্ষাতের পর রাজ্যপাল কী বলেন, সে দিকেই আপাতত তাকিয়ে বাংলার রাজনৈতিক মহল।