দীপালি সেন: রাজ্যের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে রিপোর্ট দিতে হবে রাজভবনে। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (C V Ananda Bose) নয়া নির্দেশিকায় বিতর্ক। সূত্রের খবর, রাজভবনের তরফে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের কাছে একটি নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। যাতে বলা হয়েছে, যে কোনও আর্থিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে উপাচার্যরা রাজ্যভবনের অনুমতি নেবেন।
রাজভবনের নয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এবার থেকে উপাচার্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কাজকর্মের রিপোর্ট জমা দেবেন রাজভবনে। প্রতি সপ্তাহে জমা দিতে হবে রিপোর্ট। যে কোনও আর্থিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে রাজভবনকে (Raj Bhaban) জানাতে হবে। এমনকী চাইলে সরাসরি রাজভবনের সঙ্গে ফোনেও যোগাযোগ করতে পারেন উপাচার্যরা। রীতি অনুযায়ী, রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যরা শিক্ষা দপ্তরে রিপোর্ট করেন। তাঁদের নিয়োগ থেকে বদলি সবটাই রাজ্যের সুপারিশ মেনে করেন রাজ্যপাল। তবে রাজ্যপালের নির্দেশ মানার অর্থ, উপাচার্যদের কাজকর্মের নিয়ন্ত্রণ সরাসরি চলে যাবে রাজভবনের হাতে। যা রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর ভালভাবে নেবে না।
[আরও পড়ুন: তিন বছর পর ইডেনে ফিরছে নাইটরা, রাসেলের শততমের মঞ্চে বিরাট-মায়ার প্রতীক্ষা]
রাজভবনে তাঁর প্রবেশের পর থেকে এ পর্যন্ত রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলার বার্তাই দিয়ে আসছিলেন সি ভি আনন্দ বোস। এমনকী, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে (Bratya Basu) পাশে বসিয়ে সমন্বয় সাধন করে চলার বার্তাও দিয়েছিলেন। রাজ্যপালের স্পষ্ট বক্তব্য ছিল, “শিক্ষার ক্ষেত্রে কোনও দ্বন্দ্ব নয়। বাংলা নিজের শিক্ষা, সংস্কৃতির জন্য বিখ্যাত। আমাদের সকলকে সেই জায়গা ধরে রাখতে হবে।” রাজভবনের নয়া বিজ্ঞপ্তিতে কিন্তু সেই সমন্বয় ভুলে দ্বন্দ্বের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
[আরও পড়ুন: দেশের করোনা গ্রাফে বড় লাফ, ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত ৫ হাজারের বেশি]
উল্লেখ্য, জগদীপ ধনকড় রাজ্যপাল থাকাকালীন রাজভবন এবং শিক্ষা দপ্তরের দূরত্ব চরমে উঠেছিল। এমনকী ধনকড়কে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদ থেকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে সেই পদে আনার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল। সিভি আনন্দ বোস আসার পর রাজ্যের তরফেই তাঁর সঙ্গে সুসম্পর্কের বার্তা দেওয়া হয়। সেই সুসম্পর্ক কি এবার ইতি পড়তে চলেছে? রাজ্যপালের নতুন পদক্ষেপে প্রশ্ন উঠছে।