গৌতম ব্রহ্ম: স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে হয়রানি আটকাতে তৎপর রাজ্য। তাই এবার এক্ষেত্রে পরামর্শদাতা হিসাবে নিয়োগ করা হচ্ছে এক অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসারকে। স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে একাধিক অভিযোগ এসেছে সরকারের কাছে। কড়া পদক্ষেপের বার্তা দিয়েও বেনিয়ম পুরোপুরি আটকানো সম্ভব হয়নি। তাই আমজনতার হয়রানি আটকাতে ভিন্ন রাস্তা নিল রাজ্য সরকার।
স্বাস্থ্যসাথী কার্ডকে সামনে রেখে সরকারি হাসপাতালের ডাক্তারদের একাংশ নিজেদের আখের গোছাচ্ছে, বেসরকারি হাসপাতালে রোগীদের অযথা রেফার করছে, এমন মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে সম্প্রতি। দু’দিন আগে জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকে এই নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সাফ জানিয়ে দেন, স্বাস্থ্যসাথী বেনিয়মে শুধু জরিমানা করে আর লাভ নেই। এবার কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই পাঁচটি নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্ত শুরু হয়েছে। সাদা পোশাকের পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে সারপ্রাইজ ভিজিট দিতে বলা হয়েছে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের। এবার স্বাস্থ্যভবনের জন্য পরামর্শদাতা নিয়োগ হল।
[আরও পড়ুন: আম্পায়ারের ‘পক্ষপাতিত্বে’ হকিতে সোনা হাতছাড়া ভারতীয় মহিলাদের, রাগে ফুঁসছে নেটদুনিয়া]
নবান্ন সূত্রের খবর, অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার সুতীর্থ ভট্টাচার্যকে বসানো হচ্ছে ওই পদে। এমনিতে স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে জেলায়-জেলায় বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে কড়া বার্তা দিয়েছেন। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা না দিলে সেই হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন।
রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবায় এক তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) মস্তিষ্কপ্রসূত ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ড। এর মাধ্যমে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পেয়ে থাকেন আমজনতা। নির্দিষ্ট অঙ্কের চিকিৎসায় কোনও খরচ লাগে না। তবে এ নিয়ে কড়া সরকারি নির্দেশ জারি থাকলেও মাঝেমধ্যেই অভিযোগ ওঠে, কিছু বেসরকারি হাসপাতাল ‘স্বাস্থ্যসাথী’ (Swasthya Sathi) কার্ড ফিরিয়ে দিচ্ছে। তাতে রোগীরা সমস্যায় পড়ছেন। এই অভিযোগের নিষ্পত্তি করতে আগেও বেশ কয়েকবার মুখ্যমন্ত্রীকে আসরে নামতে হয়েছে।