নব্যেন্দু হাজরা: বেআইনি বাজি কারখানা বন্ধ করে আতসবাজির ক্লাস্টার তৈরি করতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু এই সব বেআইনি বাজি কারখানায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করা শ্রমিকরা আচমকাই যাতে পুজোর আগে কর্মহীন হয়ে না পড়েন, সে কারণে তাঁদের সবুজ বাজি তৈরি এবং বিক্রির একমাসের অস্থায়ী লাইসেন্স দেওয়ার ভাবনা রাজ্যের। ঠিক হয়েছে, এই এক মাসের জন্য জেলায় জেলায় একটা বড় খোলা জায়গা ঠিক করে দেওয়া হবে। সেখানে গিয়ে এই শ্রমিকরা বাজি তৈরি এবং বিক্রি করতে পারবেন। পাশাপাশি কোনও ব্যবসায়ী নিজের জমিতে আতসবাজির ক্লাস্টার তৈরি করতে চাইলে তাঁকে আর্থিক সাহায্য করবে রাজ্য সরকার।
নবান্নে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর সঙ্গে বৈঠক করে সারা বাংলা আতসবাজি উন্নয়ন সমিতি। সেখান থেকে বেরিয়ে সংগঠনের চেয়ারম্যান বাবলা রায় বলেন, “রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, জমি থাকা কোনও ব্যবসায়ী যদি ক্লাস্টার তৈরি করতে চান, তবে তাঁর খরচের ৯০ শতাংশই রাজ্য সরকার দেবে। পাশাপাশি বেআইনি বাজি কারখানায় কাজ করা শ্রমিকদের মূলস্রোতে ফেরাতে কালীপুজোর আগে বাজি বানানো এবং বিক্রি করতে একমাসের জন্য একটা টেম্পোরারি লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে।”
[আরও পড়ুন: ‘বিশ্বাসহীন বিশ্বে’ বিশ্বাস ফেরানোর বার্তা, জি-২০ মঞ্চে ভারসাম্যের খেলায় মোদি]
সংগঠনের তরফে বিভিন্ন ব্লকে পড়ে থাকা কর্মতীর্থগুলোতে আতসবাজি হাব তৈরির আবেদনও জানানো হয়েছে এদিন। সে বিষয়টি অবশ্য সরকারের তরফে ভেবে দেখা হবে বলে জানানো হয়েছে। বেআইনি বাজি কারখানা বন্ধে এবং বিস্ফোরণের মতো ঘটনা এড়াতে জেলায়-জেলায় বাজির ক্লাস্টার বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি জেলায় জায়গা চিহ্নিতও হয়েছে। ঠিক হয়েছে, ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বাজি কারখানাগুলি বন্ধ করে গড়ে তোলা হবে ক্লাস্টার। অর্থাৎ জেলা শিল্পকেন্দ্রের তত্ত্বাবধানে নির্দিষ্ট একটি জায়গায় এক সঙ্গে অনেক কারখানা তৈরি হবে। এক্ষেত্রে সরকারি সুবিধাও মিলবে। এদিনের বৈঠকে সে বিষয়েও দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। একই সঙ্গে শিল্পসাথী পোর্টালে শ্রমিকদের যাতে নাম তুলতে সুবিধা হয়, সে কারণে কর্মশালারও আয়োজন করা হচ্ছে রাজ্যের তরফে। জানানো হয়েছে, শনিবার এক হাজার শ্রমিক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই কর্মশালায় যোগ দেবেন।