গোবিন্দ রায়: পঞ্চায়েত নির্বাচন (WB Panchayat Poll) বন্ধ করে দেওয়া এবং রাজ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা নিয়ে করা কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta HC) দায়ের করা জনস্বার্থ মামলা খারিজ হয়ে গেল। মামলার গ্রহণযোগ্যতা নেই বলে তা খারিজ করে দিল প্রধান বিচারপতি টিএস শিবাজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।
শ্রীধর বাগারি নামে প্রাক্তন সেনা আধিকারিক হাই কোর্টে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Poll) বন্ধ করার আরজি নিয়ে মামলা করেছিলেন।সেইসঙ্গে রাজ্য জরুরি অবস্থা জারি করার আবেদনও জানান তিনি। অভিযোগ ছিল, রাজ্য নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ নয়। কমিশন শাসক দলের নির্দেশমতো কাজ করছেন। মানুষের নিরাপত্তা, মানুষের সাংবিধানিক অধিকার খর্ব হচ্ছে। সেই মামলার শুনানিতে সোমবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দিল, কোন পরিস্থতিতে রাজ্যে জরুরি অবস্থা জারি হতে পারে, তা একমাত্র রাজ্যপাল সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তিনি এও জানান, রাজ্যপাল এবং হাই কোর্টের ক্ষমতা আছে, নির্বাচন বন্ধ করে দিতে পারে।
[আরও পডুন: ধাক্কা বিরোধী ঐক্যে, লোকসভায় আপের বিরুদ্ধে লড়ার সিদ্ধান্ত দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেসের!]
তাতে প্রধান বিচারপতির বক্তব্য, নির্বাচন কমিশন একটি স্বশাসিত সংস্থা। তাই আদালত সেখানে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। মানুষের নিরাপত্তা, জীবন-জীবিকার আঘাত এলে আদালত নিশ্চিতভাবে হস্তক্ষেপ করবে। আর যেহেতু রাজ্যপালের ক্ষমতা রয়েছে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে পারে, কিন্তু আদালত এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। ইতিমধ্যেই ১২% আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন প্রার্থীরা। তাহলে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব হয়নি আদালতের উদ্দেশে মামলাকারী। অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত ঘোষণা হওয়ার পর আদালত হস্তক্ষেপও করতে পারে না।নির্বাচনের দফা ঘোষণা হওয়ার পর আর নতুন করে দফা বাড়ানোর আইন নেই। গণতন্ত্রে নির্বাচিত সরকার চলছে। সেখানে রাজ্যপাল বা হাই কোর্ট কখনওই জরুরি অবস্থা জারি করতে পারে না। অ্যাডভোকেট জেনারেলের আরও দাবি, এই মামলার গ্রহণযোগ্যতা নেই। দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ মামলা খারিজ করে দেয়।