কৃষ্ণকুমার দাস: পঞ্চায়েত নির্বাচনের (WB Panchayat Vote 2023) স্ট্র্যাটেজি ঠিক করতে মেগা বৈঠক করল তৃণমূল (TMC)। ভোটে কী কৌশলে লড়বে তৃণমূল, কীভাবে প্রচার করবে, এদিনের বৈঠকে সেই স্ট্র্যাটেজি তৈরি করল ঘাসফুল শিবির। জেলায়-জেলায় জনসংযোগ, প্রচারের দায়িত্বে থাকছেন হেভিওয়েট নেতানেত্রীরা। এই তালিকায় থাকছেন রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক থেকে রাজ্যস্তরের নেতা-নেত্রীরা। আগামী ১৫-২০ দিন বিভিন্ন ঝটিকা সফর করবেন তাঁরা। প্রচার সারবেন। করবেন জনসংযোগও। কে কোন জেলায় কাজ করবেন, তাও দলের তরফে ঠিক করে দেওয়া হয়েছে।
শনিবার মেগা বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠক করেন তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ, সাংসদ কল্যাণ বন্দ্য়োপাধ্যায়, সাংসদ শতাব্দী রায় এবং রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রাজ্যের তরফে কমপক্ষে ৫০ জন নেতানেত্রীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পরে এই সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে।” এই ৫০ জন কারা? তৃণমূল নেতা জানিয়েছেন, দলের বর্ষীয়ান নেতাদের পাঠানো হবে গ্রাম বাংলায়। তাঁরা ১৫-২০ দিন সেখানে থাকবেন। অঞ্চলভিত্তিক রাজনৈতিক কর্মসূচি চালাবেন তাঁরা। এই তালিকায় থাকছেন রাজ্য মন্ত্রিসভার একাধিক হেভিওয়েট মন্ত্রী, ক্যাবিনেট মন্ত্রীরা। যেমন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ফিরহাদ হাকিম, শশী পাঁজা, বীরবাহা হাঁসদা, অরূপ বিশ্বাসরা। থাকবেন সাংসজ-বিধায়করাও। এছাড়াও দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকরাও প্রচারের দায়িত্বে থাকছেন।
[আরও পড়ুন: নির্দল প্রার্থীদের সরে দাঁড়ানোর ‘অনুরোধ’ তৃণমূলের, জিতলেও দলের দরজা বন্ধ]
প্রায় ২ মাস ধরে জেলায় জেলায় ঘুরেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কাছে আবাস যোজন ও ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের পাওনা বকেয়া নিয়ে বহু অভিযোগ জমা পড়েছে। সেই পাওনা আদায় করতে দিল্লি যাওয়ার ডাক দিয়েছেন অভিষেক। পঞ্চায়েত ভোট মিটমলেই দিল্লি যাওয়া হবে বলে জানিয়ে রাখলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়।