স্টাফ রিপোর্টার: কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়, ১০৮ পুরসভার ভোটের দায়িত্বে থাকবে রাজ্য পুলিশ, এমনটাই কমিশন সূত্রে থাকবে। মোট মোতায়েন করা হবে ৪৪ হাজার পুলিশ। প্রতি বুথে থাকবে সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী।
রাজ্যের আসন্ন ১০৮ পুরসভার নির্বাচনে (WB Civic Polls 2022) কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত রাজ্য নির্বাচন কমিশনের হাতেই ছেড়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। বুধবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, যেসব পুরসভায় ভোট রয়েছে সেসব এলাকার বাস্তব পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজির সঙ্গে বৈঠকে বসবে কমিশন। বৈঠকে আধা সেনা মোতায়েন নিয়ে লিখিত সিদ্ধান্তে আসতে হবে। যদি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত না নেওয়া হয় সেক্ষেত্রে ভোটের দিন যেসব জায়গায় হিংসার ঘটনা ঘটবে তার জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনার ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকবেন। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন না করলে তার কারণ কমিশনকে লিখিত আকারে কোর্টকে জানাতে হবে বলেও নির্দেশ।
[আরও পড়ুন: এবার হাসপাতালেই মিলবে জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্র, তৈরি হচ্ছে রাজ্যের নিজস্ব পোর্টাল]
হাই কোর্টের তরফে এমন নির্দেশ আসার পরই যেসব জায়গায় ভোট রয়েছে সংশ্লিষ্ট জেলার জেলাশাসকদের কাছ থেকে বাস্তব পরিস্থিতি জানতে চেয়ে রিপোর্ট তলব করে কমিশন। এরপর বিকেলে স্বরাষ্ট্র সচিব ও ডিজির সঙ্গে বৈঠকে বসেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। সূত্রের খবর, রাজ্য পুলিশ দিয়েই ভোট হবে বলে বৈঠকে স্থির হয়েছে। জেলাশাসকদের থেকে পাওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রতিটি পুরসভার বেশকিছু এলাকাকে স্পর্শকাতর হিসাবে চিহ্নিত করেছে কমিশন। সেসব এলাকাগুলিতে এখন থেকেই কড়া নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে স্থির হয়েছে, প্রতিটি বুথে সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী থাকবে। এছাড়াও স্পেশাল টাস্ক ফোর্স, ইএফআর জওয়ান, র্যাফের তত্ত্বাবধানে থাকবে বাইরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সূত্রের খবর, আগে ঠিক হয়েছিল ১০৮ পুরসভায় মোট ৪০ হাজার বাহিনী নিয়োগ থাকবে। এদিনের বৈঠকে বাহিনী সংখ্যা আরও ১০ শতাংশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ভোটের দিন নিরাপত্তার দায়িত্বে সব মিলিয়ে মোট ৪৪ হাজার রক্ষী মোতায়েন রাখা হবে। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পাশাপাশি প্রতিটি পুরসভাতেই পর্যবেক্ষক হিসাবে আইএএস অফিসার নিয়োগ করতে হবে বলেও হাই কোর্টের নির্দেশ।