সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তামিলনাড়ুতে (Tamil Nadu) বেদান্তের (Vedanta) বিতর্কিত স্টারলাইট কারখানাটি খোলার অনুমতি দিল সুপ্রিম কোর্ট। দূষণের অভিযোগে ২০১৮ সালে সেটি বন্ধ করে দেয় তামিলনাড়ু সরকার। সরকারের নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল বেদান্ত। কিন্তু ফল হয়নি। এবার শুধু অক্সিজেনের উৎপাদনের জন্য সেই কারখানা খোলার অনুমতি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শুনানির সময়ে সওয়াল-জবাবে এক সময় বিচারপতিরা মন্তব্য করেন, এটা রাজনৈতিক ঝগড়া করার সময় নয়, দেশ এখন সংকটে।
আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারকে একটি কমিটি তৈরির নির্দেশ দেয়। সেই কমিটি বেদান্তের এই কারখানার কাজকর্মের উপর এখন নজর রাখবে। সেই কমিটি প্রয়োজনে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সঙ্গেও কথা বলবে। প্রসঙ্গত, এটি তামা উৎপাদনের কারখানা ছিল। কিন্তু সেখান থেকে দূষণ ছড়াচ্ছিল বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করে। এলাকায় আন্দোলন শুরু হয়। সেই আন্দোলনে গুলি চলে। মৃত্যু হয় ১৩ জনের। এর পর ২০১৮ সালে ওই কারখানা বন্ধের নির্দেশ দেয় তামিলনাড়ু সরকার। সেই রায়ের বিরুদ্ধে প্রথমে মাদ্রাজ হাই কোর্ট এবং পরে সুপ্রিম কোর্টে যায় বেদান্ত। কিন্তু তাতেও বিশেষ লাভ হয়নি। কারখানা খোলার অনুমতি পায়নি তারা।
এবার রাজ্য সরকারের তরফেই ওই কারাখানা খোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়। তামিলনাড়ুতে অক্সিজেনের ঘাটতি পূরণ করতেই এই উদ্যোগ। সেই বিষয়ে মঙ্গলবার শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টে। তখনই সিনিয়র অ্যাডভোকেট সিএস বৈদ্যনাথন কোর্টকে জানান একটি সর্বদলীয় বৈঠক করেছে তামিলনাড়ু সরকার। সেখানে সব পক্ষই কারখানা খোলার বিষয়ে মত দিয়েছে।
শুনানির সময় সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, আমি রাজ্য এবং বেদান্তের মধ্যে যে সমস্যা রয়েছে তা নিয়ে তিনি কিছু বলতে চাই না। আমি চাই ওই কারখানায় অক্সিজেন তৈরির যে সুবিধা রয়েছে তা যেন কাজে লাগানো হয়। এবং এখান থেকে তৈরি হওয়া অক্সিজেন যেন কেন্দ্রকে দেওয়া হয়। যাতে কেন্দ্র সব রজ্যের কাছে সেই অক্সিজেন পৌঁছে দিতে পারে।
[আরও পড়ুন: করোনা আবহে অক্সিজেন জোগান বাড়াতে বন্ধ থাকা স্টারলাইট কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত তামিলনাডুর]
সলিসিটর জেনারেল মেহতার কথা তুলে ধরে সিনিয়র অ্যাডভোকেট সিএস বৈদ্যনাথন মন্তব্য করেন, কেন্দ্র বেদান্তকে সমর্থন করছে। তার পরই বিচারপতি চন্দ্রচুড় বলেন, “এটা আদালতে রাজনৈতিক ঝগড়ার সময় নয়। আমরা এখন জাতীয় সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। জাতীয় বিপর্যয়ের মুখোমুখি আমরা। আমাদের এখন দেশের পাশে দাঁড়ানো উচিত।”
[আরও পড়ুন: করোনা দুর্ভোগ মোদির জন্যই! অস্ট্রেলিয়ার সংবাদপত্রের সমালোচনার কড়া জবাব ভারতের]
সেই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট এটাও পরিষ্কার করে দিয়েছে, কারখানা খোলার এই নির্দেশকে হাতিয়ার করে বেদান্ত যেন তামা জাতীয় দ্রব্য উৎপাদন শুরু করে না দেয়। এই নির্দেশ কেবল অক্সিজেন উৎপাদনের জন্যই।