সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জাতীয় ঐক্যের প্রতি দায়বদ্ধ বিজেপি সরকার। 'এক দেশ, এক কর কাঠামো (জিএসটি)' আনা হয়েছে, ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদায় ইতি টানা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সর্দার বল্লবভাই বল্লভভাই প্যাটেলের জন্মদিবসে গুজরাটে 'স্ট্যাচু অফ ইউনিটি'তে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এইসঙ্গে নাম না করে কংগ্রেসকে তোপ দেগে বলেন, শহুরে নকশালদের দল সস্তা রাজনীতির স্বার্থে দেশের ঐক্য নষ্ট করতে চায়। এদের চিহ্নিত করতে হবে।
বৃহস্পতিবার ছিল 'লৌহমানব' প্যাটেলের ১৪৯তম জন্মদিবস। এদিনই মোদির বার্তা---সংবিধান থেকে কর কাঠামো, স্বাস্থ্য বিমা থেকে ভোট, সমস্ত ক্ষেত্রে গোটা দেশের ঐক্যসাধন তাঁর সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। একতার এই লক্ষ্যকে যারা ভাঙতে চাইবেন তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর পরই প্রধানমন্ত্রী বলেন, "কিছু বিকৃত শক্তি ভারতের উত্থানে চিন্তিত। দেশের অভ্যন্তরে এবং বাইরে থেকে এরা অস্থিরতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে। আন্তর্জাতিক শিল্প সংস্থাগুলিকে এরা ভারত সম্পর্কে ভুল বোঝাচ্ছে। এরা ভারতীয় সেনা বাহিনীকেও টার্গেট করছে, ভুল তথ্য প্রচার করছে।" এখানেই না থেমে মোদি বলেন, "এই শক্তি জাতপাতের নামে দেশের মানুষের বিভাজনের চেষ্টা করছে। ভারতীয় সমাজ এবং জাতীয় ঐক্যকে দুর্বল করাই এদের লক্ষ্য। এরা চায় না ভারত উন্নত হোক। কারণ 'দরিদ্র ভারত, দুর্বল ভারত' নিয়ে রাজনীতি করা সহজ। এরা সংবিধানের দোহাই দিয়েও ভারত ভাঙতে চায়। এই শহুরে নকশালদের জোটকে চিহ্নিত করতে হবে আমাদের।"
নিজের ভাষণে মোদি আরও অভিযোগ করেন, কংগ্রেস সরকারের আমলে জাতীয় ঐক্যে ফাটল ধরেছিল। "আমরা গত দশ বছরে বিভাজনের নীতিতে ইতি টেনেছি। সবকা সাথ সবকা বিকাশের পথ হাঁটছি।" এইসঙ্গে উন্নয়নে জোর দেওয়া হয়েছে। বিগত সময়েও শহুরে নকশাল নিয়ে মুখে খুলেছেন মোদি। চলিত শুরুতেই একটি সভায় বলেন, দেশের ঐক্য নষ্ট করছে শহরে নকশালরা। কংগ্রেসকে দুষে বলেন, একদল শহুরে নকশালই কংগ্রেস দলটাকে চালাচ্ছে। জাতিগণনার বিরোধিতা করে বলেন, স্বার্থপরতার রাজনীতি করছে রাহুল গান্ধীর দল। ভোটের রাজনীতি করতে গরিবদের বোকা বানাচ্ছে তারা।
উল্লেখ্য, চলতি বছরেও বিদেশ সফরে গিয়ে মোদির সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেছেন রাহুল গান্ধী। বিশেষত ভারতে সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে সরব হয়েছেন কংগ্রেস নেতা। একই বিষয়ে মার্কিন মিডিয়ার একাংশও মোদি সরকারের সমালোচনা করেছে।