রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: প্রথম দফার ভোটের আগে শেষবেলার প্রচারে ঝড় তুলতে নামছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) এবং মিঠুন চক্রবর্তী। মূলত জঙ্গলমহলে একদিকে শাহ ও অন্যদিকে ‘মহাগুরু’ মিঠুন চক্রবর্তীকে দিয়ে প্রচার চালিয়ে শেষবেলায় গেরুয়া পালে জোর হাওয়া তুলতে চায় বিজেপি নেতৃত্ব।
২৫ মার্চ, একদিনে পাঁচটি কর্মসূচি রয়েছে অমিত শাহর। বাঘমুন্ডি, গোপীবল্লভপুর, তমলুক ও বিষ্ণুপুরে সভা করবেন শাহ। ওইদিন রাতে বিষ্ণুপুরে জেলা নেতাদের সঙ্গে তাঁর বৈঠক করার কথা রয়েছে। রাতে বাঁকুড়ায় থাকার কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। একদিনে শাহর এই পাঁচ কর্মসূচি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ায় এক ইঞ্চি জমিও যে ছাড়তে নারাজ গেরুয়া শিবির, তা স্পষ্ট জঙ্গলমহলে গত কয়েকদিনে শাহর কর্মসূচির বহরেই।
[আরও পড়ুন: বুথের ভোটার না হলেও হওয়া যাবে পোলিং এজেন্ট, কমিশনের নয়া নিয়মে স্বস্তি বিরোধীদের]
এদিকে অমিতের পাশাপাশি ২৫ মার্চ থেকে পুরোদমে রাজ্যের ভোট প্রচারে নামার কথা মিঠুন চক্রবর্তীর। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরে সভা করবেন ‘মহাগুরু’। শালতোড়া, মানবাজার ও কেশিয়াড়িতে মিঠুন চক্রবর্তীর সভা রয়েছে। আগামী ৩ দিনে জঙ্গলমহলে একাধিক রোড শোও করবেন মিঠুন। সেই সঙ্গে দিল্লি থেকে ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীরকেও (Gautam Gambhir) প্রচারে নামাতে চলেছে গেরুয়া শিবির। আসলে লোকসভা নির্বাচনের ব্যাপক সাফল্যের পর হঠাতই এই এলাকায় সংগঠনের রাশ খানিকটা আলগা হয়েছে গেরুয়া শিবিরের। সম্প্রতি জঙ্গলমহলের জেলাগুলিতে বিজেপি নেতাদের জনসভাতেও সেভাবে ভিড় চোখে পড়ছে না। অন্যদিকে মমতার সভাগুলিতে জনসমাগম দেখা যাচ্ছে চোখে পড়ার মতো। তাই শেষ মুহূর্তে ‘খেলা’ ঘোরাতে আসরে নামছে বিজেপি (BJP)।
[আরও পড়ুন: প্রচারে গিয়ে আলিঙ্গন, করমর্দন করলে যেতে হতে পারে জেলে! করোনাকালে প্রার্থীদের হুঁশিয়ারি কমিশনের]
পাশাপাশি আগামী ৩০ মার্চ নন্দীগ্রামেও সভা করার কথা রয়েছে মিঠুনের (Mithun Chakraborty)। শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থনে একেবারে শেষবেলায় মাঠে নামবেন মিঠুন। তার আগে অবশ্য ২৭ মার্চ নন্দীগ্রামে সভা করতে পারেন অমিত শাহ। দলের হেভিওয়েট নেতাদের কর্মসূচি থেকেই স্পষ্ট, নন্দীগ্রাম কেন্দ্র বিজেপির এবার বিশেষ ফোকাস।