বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: রাজ্যে প্রথমবার প্রচারে এসেই তৃণমূল-বিজেপির আঁতাত নিয়ে সরব হলেন সিপিআই (CPI) নেতা কানহাইয়া কুমার। শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে বাম প্রার্থী সৈকত গিরির সমর্থনে জনসভা করেন বামেদের ‘পোস্টার বয়’। এদিন অবিভক্ত মেদিনীপুরেই জনসভা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi), একাধিক সভা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সে তুলনায় এদিন বামেদের সভা খানিকটা জৌলুসহীন হলেও, আক্রমণের ঝাঁজ কম ছিল না। এদিনের সভা থেকে মূলত বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেও রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে ছেড়ে কথা বলেননি বামেদের স্টার প্রচারক।
জেএনইউয়ের (JNU) প্রাক্তন ছাত্রনেতা দলবদল প্রসঙ্গকে হাতিয়ার করে এদিন একযোগে মোদি-মমতাকে তোপ দাগলেন। বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, তৃণমূল আর বিজেপির মধ্যে তেমন ফারাক নেই। তাঁর কথায়,”যাঁদের ছবি আগে দিদির আশেপাশে দেখা যেত, তাঁদের ছবিই এখন মোদির আশেপাশে দেখা যাচ্ছে। পুরনো বিষই নতুন করে নতুন মোড়কে এসে হাজির হয়েছে।” তরুণ এই বাম নেতা বলছেন, “আমাদের ভোট দিন, আমরা আপনার সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য লড়ব। ভাল শিক্ষা, ভাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য লড়ব। আমাদের কথা পছন্দ হলে ভোট দেবেন। নাহলে দেবেন না। তৃণমূলকে শিক্ষা দিতে বিজেপিতে কেন? আমাদের সঙ্গে থাকুন আমরা দুই দলকেই শিক্ষা দেব। আমাদের লড়াই শুধু ভোটের লড়াই নয়। আমাদের লড়াই বিচারধারার লড়াই।”
[আরও পড়ুন: আসন রফা নিয়ে জটিলতা অব্যাহত, জোট শরিকদের প্রচারে দেখা মিলছে না অধীরের]
বামেদের চেনা সুরে কানহাইয়া এদিন আরও একবার মনে করিয়ে দেন, বিজেপিকে (BJP) বাংলায় ডেকে এনেছে তৃণমূলই। পটাশপুরে দাঁড়িয়ে কানহাইয়া এদিন বললেন,”একসময় বিজেপির সঙ্গে জোট ছিল তৃণমূলের। সেসময় দিদি বোঝেননি মোদি কি জিনিস। মোদি সেই ব্যক্তি, যাকে একবার বাড়িতে ডাকলে ও বাড়ির রাস্তা চিনে নেবে। বাড়ির সব জিনিসপত্র দেখে নেবে। আর রাতে এসে সব বেচে দেবে। দিদি আপনি জোট করে ডেকে আনলেন। ওরা এসে দেখে গিয়েছে কার কাছে কোথায় টাকা লুকনো আছে। আর ফিরে গিয়েই দিদির পিছনে ইডি লাগিয়ে দিয়েছে। একদিকে দিদি, একদিকে ইডি। নেতারা দিদির সঙ্গ ছেড়ে ইডির ভয়ে মোদির দলে শামিল হচ্ছেন।” কানহাইয়ার দাবি, “আমাদের জীবনের আসল সমস্যা নিয়ে কেউ কথা বলছে না। আসল ইস্যুতে ভোট হচ্ছে না। কেউ জয় শ্রীরাম বলছে, কেউ জয় সিয়ারাম বলছে। কিন্তু যে যাই বলুক, এই মাটি শুধু ক্ষুদিরামের। “