সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার ইভিএমের (EVM) নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন এরাজ্যে। উলুবেড়িয়ায় তৃণমূল নেতার বাড়ির সামনে থেকে উদ্ধার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন। যার জেরে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়েছে ওই এলাকায়। প্রতিবাদে বিডিও এবং নিরাপত্তারক্ষীদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন স্থানীয় বিজেপি (BJP) কর্মীরা।
অভিযোগ, উলুবেড়িয়া উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের তুলসিবেড়িয়া এলাকার স্থানীয় তৃণমূল সমর্থক গৌতম ঘোষের বাড়ির সামনে থেকে গতকাল গভীর রাতে একাধিক ইভিএম পাওয়া গিয়েছে। গভীর রাতে নির্বাচন কমিশনের গাড়ি করেই ওই ইভিএম নিয়ে যাওয়া হয় তৃণমূল সমর্থকের বাড়ি। এক সেক্টর অফিসার নিজে ইভিএমগুলি নিয়ে যান তৃণমূল নেতার বাড়ি। গতকাল রাত ২টো নাগাদ নির্বাচন কমিশনের ওই গাড়ি যায় গৌতম ঘোষের বাড়ি। তাঁর এক প্রতিবেশী দেখতে পান ওই গাড়ি থেকে ইভিএমের বাক্স নামানো হচ্ছে। সন্দেহ হওয়ায় প্রতিবাদ করেন তিনি। তারপরই এলাকায় জড়ো হয়ে যান বিজেপি সমর্থকরা। অভিযুক্ত সেক্টর অফিসারকে আটক করে রাখেন তাঁরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে যায় রাজাপুর থানার পুলিশ, এবং সিআরপিএফ (CRPF)। ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় বিডিও। তাঁদের ঘিরেও বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি কর্মীরা।
[আরও পড়ুন: Bengal Polls LIVE UPDATE: ভোট শুরু আগেই অশান্তি, রাজনৈতিক সংঘর্ষ ৩ জেলাতেই]
বিজেপির অভিযোগ, ভোট লুট করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ওই ইভিএমগুলি তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। যদিও অভিযুক্ত সেক্টর অফিসার বলছেন অন্য কথা। তাঁর দাবি, এই ইভিএমগুলি সংরক্ষিত করে রাখার কথা ছিল। কোনও বুথে ইভিএম বিকল হলে, তার পরিবর্ত হিসেবে এগুলি ব্যবহার করা হত। কিন্তু গতকাল এই ইভিএমগুলি গভীর রাতে তাঁর হাতে এসে পৌঁছায়। সেসময় স্বভাবতই সেক্টর অফিস বন্ধ ছিল। তাই ইভিএমগুলি রাখার জন্য নিরাপদ জায়গা খুঁজছিলেন তাঁরা। সেসময় অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্টর অফিসার পরামর্শ দেন, তাঁর আত্মীয় ওই তৃণমূল নেতার বাড়িতে রাতে ইভিএমগুলি রাখার। ওই সেক্টর অফিসার স্বীকার করে নিয়েছেন, তিনি নিয়মবিরুদ্ধ কাজ করেছেন। এদিকে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার দাবি, তিনি ওই ইভিএমগুলিকে নিজের বাড়িতে আনতে দেননি। সেক্টর অফিসারের কাছে ইভিএম আছে জানামাত্রই তা বাইরে রেখে আসতে অনুরোধ করেন। এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে কমিশন। অভিযুক্ত সেক্টর অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ওই চারটি ইভিএম বাতিল করা যাবে না বলে ঘোষণা করা হয়েছে।