সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (Indian Secular Front) নিয়ে আজব বিড়ম্বনায় জোট নেতৃত্ব। নিজেদের কোটায় থাকা ৩০ আসনের মধ্যে ৪টি আসনে প্রার্থীই খুঁজে পেল না আব্বাস সিদ্দিকির দল। যার জেরে শেষ মুহূর্তে ওই চারটি আসনে না লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইএসএফ (ISF)। দলের সভাপতি শিমূল সোরেন প্রার্থীর অভাবের কথা স্বীকারও করে নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, তিরিশটির বদলে ২৬টি আসনে লড়বেন তাঁরা।
ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা আব্বাস (Abbas Siddiqui) একটা সময় দাবি করছিলেন, তাঁর দল এবারের নির্বাচনে বাংলায় ‘এক্স ফ্যাক্টর’ হতে চলেছে। বস্তুত, বামেদের ব্রিগেড সমাবেশে নিজের বহু সমর্থককে হাজির করে চমকও দিয়েছিলেন আব্বাস। এমনকী, আসন রফা নিয়ে আলোচনার শুরুতে অন্তত ৪৪টি আসনে লড়াই করার দাবি বামেদের কাছে জানিয়েছিলেন আব্বাস। বিস্তর জলঘোলার পর, আইএসএফকে ৩০টি আসন ছাড়তে রাজি হয় বামেরা। কংগ্রেস (Congress) আরও ৭টি আসন ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে বামেরা যে ৩০টি আসন আইএসএফকে ছেড়েছিল, তার সবকটিতে উপযুক্ত প্রার্থীই খুঁজে পায়নি তাঁরা। যার জেরে তিরিশটির বদলে ২৬টি আসনে লড়বে আইএসএফ। নন্দীগ্রাম-সহ আইএসএফের কোটার মোট চারটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বামেরা। প্রথম দফার ভোটের মাত্র ১৫ দিন আগে এ খবর প্রকাশ্যে আসায় বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে সংযুক্ত মোর্চা নেতৃত্ব।
[আরও পড়ুন: ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না জয়পুরের তৃণমূল প্রার্থী, রায় কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের]
প্রসঙ্গত, আব্বাসের দলের সঙ্গে কংগ্রেসের আসন রফা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে।এখনও মুর্শিদাবাদ এবং মালদহে আসনের দাবিতে অনড় তারা। কংগ্রেস আবার কোনওভাবেই এই দুই জেলায় আসন ছাড়তে নারাজ। এরই মধ্যে আইএসএফ প্রার্থী দেওয়া নিয়ে অস্বস্তিতে পড়ায়, আসন রফার ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও সুবিধা পেয়ে গেলেন অধীর চৌধুরীরা (Adhir Chowdhury)। এদিকে মালদহ জেলায় জোটে নতুন জট তৈরি হয়েছে। এই জেলায় ৩টি আসন দাবি করেছিল বামেদের জোট শরিক ফরওয়ার্ড ব্লক। কিন্তু সেই দাবি মানা হয়নি। যার জেরে অসন্তুষ্ট বাম শরিকরা কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রার্থী দেওয়ার কথা ভাবতে পারে।