ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নিজেকে পরিচয় দেন ‘স্ট্রিট ফাইটার’ হিসেবে। রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেই দাপুটে বিরোধী নেত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী হয়ে ওঠা তাঁর। তাই নিজের এবং দলের কঠিন সময়ে রাস্তাকে ভুলছেন না মমতা। দিন তিনেক আগেই নন্দীগ্রামে গিয়ে আহত হয়েছেন তিনি। এখনও পায়ে ব্যান্ডেজ বাঁধা। হাঁটাচলা করতে পারছেন না। কিন্তু তাতে কী? আজ ঐতিহাসিক নন্দীগ্রাম দিবস উপলক্ষে ফের রাস্তায় নেমে পড়ছেন তৃণমূল নেত্রী। হয়তো হাঁটাচলা করতে পারবেন না। কিন্তু দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত থেকে বার্তা তো দিতে পারবেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বহুবার বহু আঘাত পেলেও এই প্রথমবার হুইল চেয়ারে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে দেখা যাবে মমতাকে।
রবিবার শহরে নন্দীগ্রামের (Nandigram) ঘটনার প্রতিবাদে মহামিছিলে নামছে তৃণমূল। গান্ধীমূর্তির পাদদেশ থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত মিছিল। মিছিলে উপস্থিত থাকবেন তৃণমূল যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhisek Banerjee)। সমস্ত নেতৃত্বের সঙ্গে থাকতে বলা হয়েছে কলকাতার সব প্রার্থীকে। দলের একটি সূত্রের দাবি, গান্ধীমূর্তির পাদদেশে অর্থাৎ এই মিছিলের শুরুতে থাকতে পারেন মমতাও। বিকেল তিনটে নাগাদ এই মিছিল শুরু হবে। সূত্রের খবর, শুরুর দিকে সেখানে থাকবেন মমতা। কাল থেকেই শুরু হচ্ছে তৃণমূলনেত্রীর জেলা সফর। সেজন্য আজ বিকেলেই আকাশপথে শহর ছাড়ার কথা তাঁর। তার আগে শহরে দলের কর্মসূচিতে কিছুক্ষণের জন্য হলেও থাকবেন তিনি।
[আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে দুর্ঘটনাই, মমতার উপর হামলার প্রমাণ নেই! কমিশনে ‘রিপোর্ট’ পর্যবেক্ষকদের]
প্রসঙ্গত, সোমবার থেকে হুইল চেয়ারে নির্বাচনী সফর শুরু করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমে পুরুলিয়া সফর। দুটি সভা। প্রথমটি ঝালদা, দ্বিতীয়টি বলরামপুরে। পরদিন মুখ্যমন্ত্রীর সফর বাঁকুড়ায়। তার পর ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর ইত্যাদি এলাকার প্রচার রয়েছে। সভাস্থলের কাছাকাছি হেলিপ্যাড থাকবে। সেখানে কপ্টার নামার পর হুইল চেয়ারে মমতাকে নিয়ে যাওয়া হবে সভামঞ্চে। ডাক্তাররা তাঁকে দাঁড়াতে বারণ করেছেন। ফলে বেশ কিছুদিন সেই চিরাচরিত ঢঙে গোটা মঞ্চ ঘুরে বক্তৃতা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না তৃণমূলনেত্রীর। হুইল চেয়ারে বসেই তিনি তাঁর রাজনৈতিক ভাষণ দেবেন। চোট যতটা তাতে কয়েক সপ্তাহ বিশ্রাম নেওয়া খুব প্রয়োজন ছিল। কিন্তু এই সময় বিশ্রাম মানে প্রচার নষ্ট। ফলে মমতা ঝুঁকি নিয়েই প্রচার শুরু করছেন। তৃণমূলের (TMC) ইস্তাহার রবিবার নয়। দিন চূড়ান্ত হবে নেত্রীর প্রচার শুরু হওয়ার পর।