সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: সামান্য ত্রুটির জন্য দলের অফিশিয়াল প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। হাই কোর্টে গিয়েও মেলেনি সুরাহা। কিন্তু তা বলে পুরুলিয়ার জয়পুর আসনে বিজেপিকে (BJP) সুচ্যগ্র মেদিনী ছাড়তে নারাজ শাসকদল। নিজেদের প্রতীকে সরকারি প্রার্থী না থাকায় ওই কেন্দ্র থেকে এবার দলেরই এক বিক্ষুব্ধ নেতাকে সমর্থন করার কথা ঘোষণা করে দিলেন তৃণমূল যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, পুরুলিয়ার ওই কেন্দ্র থেকে উজ্বল কুমারকে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। কিন্তু মনোনয়নে ত্রুটি থাকায় উজ্বলবাবুর মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেয় নির্বাচন কমিশন। যার প্রতিবাদে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় শাসকদল। কমিশনের সিদ্ধান্ত বাতিল করে দেয় হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। পালটা ডিভিশন বেঞ্চে যায় নির্বাচন কমিশন। এবার জয় হয় কমিশনের। তৃণমূলকে ধাক্কা দিয়ে উজ্বল কুমারের মনোনয়নপত্র বাতিলই করে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। যার ফলে জয়পুর (Joypur) কেন্দ্রে প্রার্থীহীন হয়ে যায় তৃণমূল। অর্থাৎ ভোটের আগেই একটি কেন্দ্রে পিছিয়ে পড়েছিল শাসকদল।
[আরও পড়ুন: ‘কে বলেছে আমি তৃণমূলে? প্রধানমন্ত্রীর সভায় থাকব’, ফের বিস্ফোরক শিশির]
কিন্তু বুধবার পুরুলিয়ার মানবাজারের এক জনসভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ঘোষণা করে দিয়েছেন, জয়পুর কেন্দ্রে বিজেপিকে হারাতে নির্দল প্রার্থী দিব্যজ্যোতি সিং দেওকে সমর্থন করবে শাসক দল। এই দিব্যজ্যোতি সিং দেও আসলে তৃণমূলেরই বিক্ষুব্ধ নেতা। জয়পুর ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন তিনি। দলের সরকারি প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় নির্দল হিসেবে জয়পুর কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন করেছিলেন। এমনকী তৃণমূল (TMC) কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করতে চেয়ে দলের জেলা যুব সভাপতিকে ইস্তফাপত্র পাঠিয়েও দিয়েছিলেন। কিন্তু দিব্যজ্যোতির সেই ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেনি শাসক শিবির। উলটে বুধবার ভরা সভা থেকে অভিষেক ঘোষণা করেছেন, উজ্বলের জায়গায় দিব্যজ্যোতিকেই সমর্থন করবে দল।
[আরও পড়ুন: ‘দলত্যাগীরা সত্যিই কিছু পায়নি’, কেন এমন কথা মদনের মুখে? দেখুন ভিডিও]
হঠাৎ তৃণমূলের হয়ে টিকিট পেয়ে যাওয়ায় খুশি দিব্যজ্যোতি। তিনি বলছেন,”প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় আমার অভিমান হয়েছিল। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আমার কোনও রাগ নেই। তাঁদের এই সিদ্ধান্তকে আমি নির্দেশ হিসেবে নেব। এবং জয়ের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ব।”