রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: সোনার বাংলা গড়ার অভিযানে পাড়ার মাস্টারমশাই থেকে ডাক্তারবাবু কিংবা সংস্কৃতি মনোভাবাপন্ন মানুষজন সকলকেই শামিল করতে চায় বঙ্গ বিজেপি। রাজ্যের কোনও প্রখ্যাত বুদ্ধিজীবী নয়, প্রতিটা বিধানসভায় সেই এলাকার বিশিষ্টজনদের দলের প্রচারে সামনে আনার ভাবনা গেরুয়া শিবিরের।
সমাজে জনমত গঠনে বিশিষ্টজনদের গ্রহণযোগ্যতা আম জনতার কাছে অনেক বেশি। দলের ভাবনা ও কেন্দ্রীয় প্রকল্পের প্রচারে তাই ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের বিশিষ্টজনদের পাশে পেতে চায় বঙ্গ বিজেপি। ২০২১ সালের লড়াইয়ে বিজেপি চাইছে মননশীল সমাজের কাছে দলের ভাবমূর্তি তুলে ধরতে। আর সেই মননশীল সমাজই বিজেপির কথা তুলে ধরবে সাধারণ মানুষের কাছে। ইতিমধ্যে বিধানসভাভিত্তিক বিশিষ্টজনদের সংগঠিত করে তাঁদের কাছে আগামীদিনে দলের ভাবনা এবং বিজেপি সরকার এলে তাদের লক্ষ্য কী হবে তা তুলে ধরার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: রাতারাতি ভাগ্য বদল! লটারি কেটে কোটিপতি বনগাঁর দিনমজুর]
রাজ্যে এসে বারবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডারা ডাক দিয়েছেন সোনার বাংলা গড়ার। সেই লক্ষ্য পূরণের জন্য কোন কোন বিষয়ে প্রাধান্য দেবে বিজেপি, সেটাই প্রথমে বলা হচ্ছে বিশিষ্টজনদের নিয়ে অনুষ্ঠিত সেমিনারগুলিতে। একইসঙ্গে তাঁদের ভাবনাও শোনা হচ্ছে। উন্নয়ন, সুশাসন, নারী সুরক্ষা, যুবসমাজের ভবিষ্যৎ। এইরকম একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে। এগুলিই বিশিষ্টজনরা আবার তুলে ধরবেন বিধানসভায় দলের প্রচারে। ইতিমধ্যেই ‘লক্ষ্য সোনার বাংলা’ (Lokkho Sonar Bangla) কর্মসূচির সূচনাও হয়েছে। রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় রিসার্চ ফাউন্ডেশনের অধিকর্তা অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় ও রন্তিদেব সেনগুপ্তরা এই কর্মসূচির সূচনা করেছেন।
রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, ‘প্রতিটি এলাকার বিশিষ্টজনদের আমরা প্রচারে রাখব। তাঁরা আমাদের সঙ্গে বাংলার উন্নয়নের লড়াইয়ে শামিল হবেন।’ বিজেপির বুদ্ধিজীবী সেলের আহ্বায়ক রন্তিদেব সেনগুপ্তর কথায়, ‘সেই বাম শাসন থেকে বর্তমান তৃণমূল সরকারের আমলে, ৪৩ বছরে বাংলা পিছিয়ে পড়েছে। শিল্প-শিক্ষা-সংস্কৃতি সব ক্ষেত্রে বাংলা পিছিয়ে পড়ছে।’