রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা ভোটের ঢাকে কাঠি পড়ে যাবে। আর তার আগে বাংলার সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজো। তাই পুজোকে এবার জনসংযোগের মাধ্যম হিসেবে পুরোদমে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা নিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। পুজোয় দর্শনার্থীদের বিজেপি (BJP) পরিবারের সদস্য করতে পাড়ায় পাড়ায় কাউন্টার করার পরিকল্পনা নিয়েছে গেরুয়া শিবির।
বড় পুজো মণ্ডপ কিংবা জনবহুল এলাকায় থাকবে স্টল। দর্শনার্থীদের কাছে গেরুয়া ব্রিগেড পৌঁছে যাবে। হাতে থাকবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)’র চিঠি। পুজোতেও মোদির মুখকে সামনে রেখে বাংলায় জনসংযোগের ভিত আরও বাড়িয়ে নিতে চান দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়রা। সামনে ২০২১-এর নির্বাচন। আর সেই লক্ষ্যেই তিন কোটি সদস্য করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে মাঠে নেমেছে বঙ্গ বিজেপি। দলমত নির্বিশেষে সকলকে বাংলার পরিবর্তনে বিজেপি পরিবারের সদস্য হওয়ার ডাক দিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় নেতা জেপি নাড্ডা থেকে দিলীপ ঘোষরা। বিজেপি পরিবারের সদস্য হওয়ার আবেদন জানিয়ে পুজোর সময় পাড়ায় পাড়ায় বাজবে থিম সং।
[আরও পড়ুন: অরূপ বিশ্বাসের ‘ভাইপো’ বলে পরিচয় দিয়ে উঠতি মডেলকে কুপ্রস্তাব, মন্ত্রীর FIR’এ গ্রেপ্তার যুবক ]
এপ্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, ‘পুজোর সময় সারা রাজ্যজুড়ে হাজারের বেশি বুক স্টল থাকবে। সেখানে এবং বিভিন্ন জায়গায় আলাদা কাউন্টার করে দর্শনার্থীদের আমরা আবেদন জানাব বিজেপি পরিবারের সদস্য হওয়ার জন্য। মিসড কল করে ও ফর্ম ফিলআপ করে সদস্য করা হবে। দর্শনার্থীদের হাতে লিফলেট দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর চিঠি থাকবে। কেন্দ্রীয় সরকার কী কী জনকল্যাণমূলক কাজ করেছে তা উল্লেখ থাকবে ওই চিঠিতে।’
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তিন কোটি সদ্যস্যের লক্ষ্যমাত্রা কম কথা নয়। তা ভাল করে জানেন বঙ্গ বিজেপি নেতারাও। তাই শারদোৎসবকে সামনে রেখে যদি আমজনতাকেও বিজেপি পরিবারে যুক্ত করা যায়। তাহলে টার্গেট পুরো করা সম্ভব। আর সেটা হলেই আগামী ২০২১-এর ভোটে কেল্লা ফতে। ওই তিন কোটি সদস্যই হবে গেরুয়া শিবিরের ভোট ব্যাংক। এটা হলেই বাংলা দখল সম্ভব, দাবি রাজ্য বিজেপির এক নেতার। তাই দুর্গা পুজোকে সামনে রেখে বিজেপি পরিবারের সদস্য বাড়াতে পাড়ায় পাড়ায় লাগানো হবে প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন। সেখানে টোল ফ্রি নম্বর দেওয়া থাকবে। আবেদন থাকবে মিসড কল দিয়ে বিজেপি পরিবারের সদস্য হওয়ার জন্য। মহল্লায় মহল্লায় বাজবে গানের ক্যাসেট। নরেন্দ্র মোদি, দিলীপ ঘোষদের নিয়েই সেসব গান তৈরি করা হয়েছে।