সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Elections) আগে সরকারি পরিষেবা ঘরে ঘরে পৌঁছনোই লক্ষ্য। আবাস যোজনার সমস্যা সমাধানে আরও কড়া নবান্ন। এবার বিশেষ টাস্ক ফোর্স (Special Task Force) গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্য পঞ্চায়েত দপ্তর তৈরি করল ৯ সদস্যের বিশেষ টাস্ক ফোর্স। রাজ্য পঞ্চায়েত দপ্তরের সচিব পি উল্গানাথন-এর নেতৃত্বে এই টাস্ক ফোর্স কাজ করবে। নবান্ন সূত্রে খবর, জেলায় জেলায় সমীক্ষা, উপভোক্তাদের অভিযোগ সম্পর্কে তথ্য, সহ বিস্তারিত বিষয় নিয়ে কাজ করবে এই টাস্ক ফোর্স। অভিযোগের ভিত্তিতে দ্রুত বিভিন্ন জেলায় জেলায় পরিদর্শনও করবে এই টাস্ক ফোর্স।
দীর্ঘ জটিলতার পর আবাস যোজনায় (PM Awas Yojona) রাজ্যের জন্য ৮২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। তবে শর্তসাপেক্ষে কেন্দ্র এই টাকা দিয়েছে। বলা হয়েছে, এই প্রকল্পে শুধু প্রধানমন্ত্রীর নামই থাকবে, মুখ্যমন্ত্রীর নয়। রাজ্যের দাবি ছিল, যেহেতু এটি যৌথ প্রকল্প, তাই প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী উভয়ের নামই থাক প্রকল্পে। কিন্তু সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছে কেন্দ্র। সেই সঙ্গে বলে দেওয়া হয়েছে, এই প্রকল্পে কোনওরকম দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না।
[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটের চিন্তায় বুঁদ অনুব্রত, আদালতে বসেও ফিসফিস করে দিলেন ‘দাওয়াই’]
আবাস যোজনায় কারা সুবিধা পাওয়ার যোগ্য সেটা ঠিক করার জন্য ত্রিস্তরীয় পরীক্ষা পদ্ধতি চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রথম স্তরে সম্ভাব্য সুবিধাভোগীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খতিয়ে দেখবেন আইসিডিএস (ICDS) এবং আশা কর্মীরা। তাঁদের রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রথম স্তরে ঝাড়াইবাছাই করা হবে। পরবর্তী স্তরে সম্ভাব্য সুবিধাপ্রাপকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে যাচাই করবেন স্থানীয় থানার ওসিরা। তৃতীয় এবং সর্বোচ্চ স্তরে খোদ জেলাশাসককে বলা হয়েছে সুবিধাভোগীরা যোগ্য কিনা সেটা যেন সরেজমিনে খতিয়ে দেখা হয়।
এর বাইরেও প্রতিটি মহকুমা শাসকের অফিসে আলাদা করে কন্ট্রোল রুম খোলা হবে। সেই কন্ট্রোল রুম থেকে প্রতি মুহূর্তে এই প্রকল্প সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হবে। আসলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, দ্রুত আবাস যোজনার সুবিধাভোগীদের তালিকা তৈরি করে পোর্টালের মাধ্যমে জানাতে হবে। সেজন্য ২৫ ডিসেম্বরের ডেডলাইনও ঠিক করে দেন তিনি। সেই ডেডলাইন পূরণ করতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করতে চাইছে রাজ্য। তবে কোনওভাবেই যাতে তালিকায় বেনোজল না ঢুকে যায়, সেটাও একই সঙ্গে খেয়াল রাখা হচ্ছে।