অর্ণব আইচ: নির্বাচনের মাঝেই শওকত মোল্লা (Saokat Molla), দেবরাজ চক্রবর্তীকে সিবিআই তলব। মাঝরাতে তাঁদের হাজিরার নোটিস পাঠানো হয়। আজ অর্থাৎ বুধবার তাঁদের সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দিতে বলা হয় বলে খবর। তবে নির্বাচনী কাজে ব্য়স্ত থাকায় তাঁরা কেউই এদিন সিবিআই দপ্তরে যাননি। বারুইপুরের সভা থেকে দুজনের পাশেই দাঁড়িয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তোপ দেগেছেন তদন্তকারী সংস্থা ও বিজেপিকে। মঞ্চ থেকে তাঁর বার্তা, জিতেই যদি যাও তবে এতো ভয় কীসের? মাঝরাতে হাজিরার নোটিশ পাঠাচ্ছ কেন?
ভাঙড়ের দাপুটে তৃণমূল নেতা তথা ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লাকে তলব করে সিবিআই। সূত্রের খবর, কয়লা পাচার তদন্তের স্বার্থেই তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। পাচারে অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে শওকতের নাম উঠে আসে বলে সূত্রের খবর। এই সূত্রে তাঁকে আগেও তলব করেছে সিবিআই। সেই সময় তিনি হাজিরাও দিয়েছিলেন। কিন্তু এবার নির্বাচনী কাজে ব্যস্ত থাকায় ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক হাজিরা দেননি। শুধু শওকত নন, বিধাননগরের কাউন্সিলর তথা বিধায়ক অদিতি মুন্সির স্বামী দেবরাজ চক্রবর্তীকেও তলব করে সিবিআই। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় তাঁকে ডাকা হয়। কিন্তু তিনিও ভোটের (West Bengal Lok Sabha Election 2024) কাজে ব্যস্ত থাকার কথা জানিয়ে হাজিরা দেননি।
[আরও পড়ুন: ‘যেমন বাবা, তেমন ছেলে’, ব্রিজভূষণের ছেলের কনভয়ের ধাক্কায় শিশুমৃত্যু নিয়ে কটাক্ষ তৃণমূলের]
এই তলব নিয়ে বুধবার তোপ দেগেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শওকতের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর বার্তা, "বেচারা শওকতের মতো একটা ছেলেকেও মধ্যরাতে নোটিস পাঠিয়েছে, ভাবুন।" সুর চড়িয়ে তিনি আরও বলেন, “লজ্জা করে না! দেবরাজকেও নোটিস পাঠিয়েছে। ভোটের প্রচারের মাঝে এগুলো করা যায় না। জিতেই যদি যান, তাহলে এত ভয় কীসের?”