গৌতম ব্রহ্ম: উল্টোরথ এবং মহরম নিয়ে শুক্রবার উচ্চপর্যায়ের পুলিশ বৈঠক হল ভবানীভবনে। দুটি উৎসব যাতে নির্বিঘ্নে শেষ করা যায়, কোথাও যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য সর্বোচ্চ পর্যায়ের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। বিগত কয়েক বছরে রথের দিন বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। কোথাও রথযাত্রার পথে বৈদ্যুতিন তার পড়েছে, কোথাও আবার গাছের ডাল। এই ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে গত পাঁচ বছরে রথের দিন কী ধরনের ঘটনা ঘটেছে তার পুর্নমূল্যায়ন করে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়।
জানানো হয়, জেলার যে যে জায়গা দিয়ে রথ যাবে সেখানে যাতে বৈদ্যুতিন তার পড়ে না থাকে বা তার না ঝোলে তা খতিয়ে দেখে নিতে বলা হয়েছে। গাছের ডালপালা ছাঁটতে বলা হয়েছে স্থানীয় পঞ্চায়েত বা পৌরসভাগুলিকে। জানা গিয়েছে, কলকাতায় ছোটবড় মিলিয়ে প্রায় ৭৪টি রথ বের হয়। এর মধ্যে সাতটি বড় রথ থাকে। রথে ভিড় সামলাতে থানাগুলিকে সতর্ক করেছে লালবাজার। যে রুট দিয়ে রথ যাবে সেখানে বাড়তি বাহিনী রাখা হচ্ছে। লালবাজার সূত্রে খবর, প্রায় দেড় হাজার পুলিশ মোতায়েন থাকছে। যে সব রাস্তায় দিয়ে রথ টানা হবে সেখানে ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার আধিকারিকরা থাকবেন। রথ টানা নিয়ে কোথাও যাতে বিশৃঙ্খলা যাতে না হয় সেদিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: বিদায় রোনাল্ডো, ইউরো মহাকাব্যে অন্তহীন পর্তুগিজ কিংবদন্তির বীরগাথা]
রুট দেখে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বলা হয়েছে। কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা বা দুই ধর্মাবলম্বী মানুষের মধ্যে কোনও অশান্তির বাতাবরণ না ছড়ায় তার জন্য পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েনের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে ছিলেন এডিজি আইন শৃঙ্খলা, এডিজি আইবি, এডিজি সিআইডি থেকে শুরু করে এডিজি ট্রাফিক এবং ডিরেক্টর অফ সিকিউরিটি। ভার্চুয়ালি বৈঠকে যোগ দিয়েছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপার এবং কমিশনারেটের সিপিরা। গত বুধবার গণপিটুনি, ডাকাতি এবং মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে নবান্নের তরফে যে গাইডলাইন ইস্যু হয়েছে তা নিয়েও এদিন পর্যালোচনা হয়েছে।
পাশাপাশি এদিনের বৈঠকে উঠে এসেছে গ্যাংস্টার প্রসঙ্গ। এডিজি আইনশৃঙ্খলা বিভিন্ন জেলার এসপি ও সিপিদের বলেন, গ্যাংস্টাররা ধরা পড়ছে যেমন, তেমনই তাদের শাস্তি দেওয়ার বিষয়ে নজর রাখতে হবে। আদালতে পেশ করার সময় যে নথি লিখে দেওয়া হচ্ছে প্রয়োজনে সেটা সুপিরিয়র অফিসারদের সঙ্গে কথা বলে জমা দেবেন। আদালতে পেশ করার সময় যাতে কোনও ভুল না হয়। আমরা এদের শাস্তি চাই। সাধারণ মানুষের আস্থা বজায় রাখা উচিত পুলিশের উপর। নজর রাখবেন ট্রায়ালের সময় যেন কোনও ভুল না হয়। বিভিন্ন এলাকার এই সব গ্যাংস্টারদের গতিবিধির উপর নজর রাখুন।