সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সদ্য ভারতের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক মঞ্চেও প্রায় একঘরে সন্ত্রাসের স্বর্গোদ্যান।পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে মুখ ফিরিয়েছে পরম বন্ধু চিনও। তাই ভারতকে বেকায়দায় ফেলতে সীমান্তের ওপার থেকে ছায়াযুদ্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জঙ্গি সংগঠনগুলিকে। সেইমতোই এবার জেহাদিদের নিশানায় ভারতীয় রেল। গোয়েন্দাদের রিপোর্টে উঠে এসেছে এই তথ্য।
[ইমরান খানকে নোবেল দেওয়ার দাবি পাক নাগরিকদের, বিশ্বজুড়ে হাসির রোল]
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, জঙ্গিদের নিশানায় রয়েছে পশ্চিম রেল। একাধিক দূরপাল্লার ট্রেনে বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে জেহাদিরা। তাই সমস্ত এক্সপ্রেস ও মেল ট্রেনগুলির নিরাপত্তা আরও বাড়িয়ে তোলা হয়েছে। বিশেষ করে জম্মুতে যে সব ট্রেন যাওয়া আসা করছে, সেগুলির উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে। গত ২২ ফেব্রুয়ারি চার্চগেটের আইজি দপ্তর থেকে মুম্বই, ভদোদরা, আহমেদাবাদ, রাজকোট, রতলাম ও ভাবনগর স্টেশনের আরপিএফ প্রধানদের একটি চিঠি পাঠানো হয়। ওই সতর্কবার্তায় বলা হয় মন্দির, জনবহুল অঞ্চল ও স্টেশনে সন্ত্রাসবাদী হামলার আশঙ্কা রয়েছে। পশ্চিম রেলের আরপিএফ-এর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রবীন্দ্র ভাকর জানিয়েছেন, নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ২৭ এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি বিশেষ বৈঠক হয়েছে মুম্বইয়ের জিআরপি আধিকারিক এবং কমিশনারের সঙ্গে। কীভাবে ট্রেনগুলির সুরক্ষা আরও বাড়িয়ে তোলা যায়, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে ওই বৈঠকে।
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে আরপিএফ আধিকারিকদের সংখ্যা বাড়িয়ে তোলা হয়েছে। যাত্রীদের জিনিসপত্র তল্লাশি করে দেখা হচ্ছে। মোতায়েন করা হয়েছে স্নিফার ডগ। এছাড়াও যাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোরও চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, পুলওয়ামা হামলার জন্য আনা বিশাল পরিমাণের বিস্ফোরকের অনেকটাই এখনও দেশেই রয়েছে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। ফলে সেগুলি ব্যবহার করে নাশকতা ঘটাতে পারে জঙ্গিরা বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের। সব মিলিয়ে যেকোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে সক্ষম রেল।
[ভারতের ডসিয়ের খুলবে সন্ত্রাসের মুখোশ, এবার কী করবে পাকিস্তান?]