যে দলকে রজনী কোঠারির মতো রাষ্ট্রবিজ্ঞানী একদা বলেছিলেন, ‘কংগ্রেস সিস্টেম’, যা ভারতজুড়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এখন কংগ্রেসের ছেঁড়া তমসুক আমরা দেখতে পাই। সেখান থেকে কংগ্রেসের পুনরুজ্জীবিত হয়ে ওঠার কি কোনও সম্ভাবনা আদৌ আছে? লিখছেন জয়ন্ত ঘোষাল।
রাহুল গান্ধী, কোথায় আপনি? পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস সমস্ত পুরনো রেকর্ড ভেঙে দিয়ে শূন্য আসনে পৌঁছেছে। কংগ্রেসের এই কৈবল্যপ্রাপ্তি কেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস গঠন করেছিলেন। তিনি কংগ্রেস ছাড়তে চেয়েছিলেন, এমন নয়। ওটা ছিল পরিস্থিতির দাবি। আর, এখন তা ইতিহাস। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে কংগ্রেসের অধিবেশন। সীতারাম কেশরী তখন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি, সোমেন মিত্র রাজ্য সভাপতি। সীতারাম কেশরী এবং সোমেন মিত্রর পাশে প্রণব মুখোপাধ্যায়। নেতাজি ইন্ডোরের সেই কংগ্রেস অধিবেশনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আউটডোর অধিবেশন, আর, সেটাই হয়ে গেল ‘আসল’ কংগ্রেস। আজ, কংগ্রেসের শূন্যত্বে পৌঁছনোর প্রধান কারণ হল, এ রাজ্যে কংগ্রেসের রাজনৈতিক পরিসর কার্যত সবটাই তৃণমূল কংগ্রেসের (Congress) ঝোলায় এসে গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: মোদি-যোগী দ্বৈরথের ভবিষ্যৎ কী?]
সম্প্রতি দেখলাম, দলের রাজ্য সভাপতি অধীর চৌধুরী অবশেষে বলেছেন, ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কংগ্রেস প্রার্থী দিতে চাইছে না। বেটার লেট দ্যান নেভার। এ-ও এক বিলম্বিত বোধোদয়। যদিও অধীরবাবু বলেছেন, এটা ওঁর ব্যক্তিগত মত। বিধানসভা নির্বাচনের আগে সিপিএমের সঙ্গে জোট করে আসন সমঝোতার ভিত্তিতে মমতাকে শায়েস্তা করার রণকৌশলও কি অধীর চৌধুরীর ব্যক্তিগত অভিমত ছিল? না, বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নানের ব্যক্তিগত অভিমত? না কি কংগ্রেস হাইকম্যান্ড নামক এক নির্গুণ ব্রহ্মের অভিমত?
বিধানসভা নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম, কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতায় কেন গেলেন না? বিজেপির এত ঢক্কানিনাদ, আমরা কেউই জানি না ভোটের ফল কী হবে! রাজনৈতিক রণকৌশল হিসাবে আপনি কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা করলেন না কেন?
সে-প্রশ্নের জবাব থেকে বুঝেছিলাম, ভোটের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সোনিয়া গান্ধীর একবার কথা হয়েছিল। সোনিয়া গান্ধী প্রথম থেকেই বুঝতে পেরেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নেওয়া দরকার। কারণ, সোনিয়া গান্ধীর কাছেও পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ নরেন্দ্র মোদিকে ২০২৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরানো, লোকসভা থেকে বিজেপি-শাসন সরানো। একইভাবে রাহুল গান্ধীরও এটাই রাজনৈতিক স্বার্থ হওয়া স্বাভাবিক। পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের অগ্রাধিকার ছিল না। তামিলনাড়ুতে ডিএমকে-র সঙ্গেও কংগ্রেস বোঝাপড়া করেছে। মেনে নেওয়াই ভাল, সেই কংগ্রেস এখন নেই। সেই রাজপাট নেই। এখন তাদের ‘জলসাঘর’-এর ছবি বিশ্বাসের পরিস্থিতি। বেদনা আছে, স্মৃতি আছে, সামন্ততান্ত্রিক অতীতাসক্তি আছে। যদিও বাস্তব হচ্ছে, নতুন মোটরগাড়ি নিয়ে যুবক আসছে এবং নতুন নাচগানের আসর বসাচ্ছে। তার ঝাড়লণ্ঠনে আজ আলোর তেজ একটু বেশি, সেটা মানতে অসুবিধা হতে পারে, কিন্তু সেটাই সত্য।
রাজ্য নেতৃত্বের অভিমত ছিল ভিন্ন। বিরোধী দলনেতা ছিলেন আবদুল মান্নান। তিনি প্রায়ই দিল্লি আসতেন, বঙ্গভবনে উঠতেন। আবদুল মান্নানের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। তখন আমি নবীন সাংবাদিক, রাত হয়ে গেলে আমার হাওড়ার বাড়িতে ফেরা কঠিন হত। মান্নানদা ব্যাচেলর। তাই বহুদিন কিড স্ট্রিটে এমএলএ হস্টেলে মান্নানদার ঘরে ওঁর সঙ্গে থাকতাম। মান্নানদা অঙ্কের মাস্টারমশাই ছিলেন। দেখতাম, রাত জেগে অঙ্কের খাতা দেখছেন। মান্নানদার সঙ্গে এবারও ভোটের আগে দেখা করতে গিয়েছি। মান্নানদার তখন মনে হয়েছিল, বিজেপির মোকাবিলা করা জরুরি, কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে জেলায়-জেলায় যে তীব্র জনমত তৈরি হয়েছে, তার বিরুদ্ধে না গেলে কংগ্রেসের উত্থান হবে না। কারণ, কংগ্রেস থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ভোটব্যাংক কেড়ে নিয়ে গিয়েছেন। মমতার সঙ্গে এখন আঁতাঁত করলে কংগ্রেসের লাভ হবে না, ভোটটা মমতার কাছেই থেকে যাবে। কংগ্রেস আর ফেরত পাবে না। আর এই বিষয়টাই সোনিয়া গান্ধীকে বারবার আবদুল মান্নান ও অধীর চৌধুরী বুঝিয়েছেন। ক্রমশ দেখলাম, সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠল ওঁদের।
অধীর চৌধুরী এমন একজন নেতা- যাঁকে সিপিএম তথাকথিত সমাজবিরোধী বলে আখ্যা দিত, নানা খুনের মামলা দিত। কলকাতার পত্রপত্রিকা তাঁকে সমর্থন করতে গিয়েও বলত, অধীর চৌধুরী রবিনহুড। চাঁদ বণিকের বাঁহাতে মনসাকে পুজো দেওয়ার মতো করে বাংলা মেনস্ট্রিম মিডিয়া অধীর চৌধুরীকে গ্রহণ করেছিল। সেই অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে থাকা কংগ্রেস ও সিপিএম ‘এক’ হয়ে গেল। সেখানেও ক্ষান্ত হল না তারা। মহম্মদ সেলিমের মতো নেতা আরও বেশি উৎসাহী হয়ে ‘ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট’-এর আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে জোট বাঁধতে ব্যস্ত হলেন। এই ত্রয়ী বিরাট অংশের ভোট টেনে নেবে- এমন ভাবলেন তাঁরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁদের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করতে হতে পারে, একথাও ভাবা হল। এসব রণকৌশল তখন বিরাট আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল।
কংগ্রেসের কাছে কে বড় শত্রু? বিজেপি, না, তৃণমূল কংগ্রেস? মোদি, না, মমতা? এই প্রশ্নটাই বড় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সিপিএমের পরিসরে একটা বড় বিতর্ক ছিল- সিপিএমের বড় শত্রু কে, কংগ্রেস না বিজেপি? কংগ্রেসের ক্ষেত্রেও এই প্রশ্ন উঠেছিল। কে বড় শত্রু? বিজেপি,
না, তৃণমূল?
শেষবেলায় দেখলাম, কংগ্রেস বুঝতে পারছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও ফুরিয়ে যাননি, মূল লড়াইটা বিজেপি বনাম মমতারই হচ্ছে। ব্রিগেডের জনসভায়, সিপিএমের বিভিন্ন জনসভায় মানুষ গিয়েছিল। কিন্তু ভোটের সময় দেখা গেল, রাজনৈতিক মেরুকরণ ক্রমশ তীব্র হয়ে উঠছে। সেইটা বুঝতে পেরেই সম্ভবত রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীরা পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) ভোটপ্রচারে সেভাবে শামিল হননি। তাঁরা অসমে গিয়েছেন, কেরলে গিয়েছেন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে সোনিয়া গান্ধী তো ছেড়েই দিলাম, রাহুল বা প্রিয়াঙ্কাও আসেননি!
এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ কী? কংগ্রেস কোন পথে হাঁটবে? উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন আসছে। পাঞ্জাব, গোয়া-সহ পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন। কিন্তু কোথায় কংগ্রেস? উলটে দেখলাম, জিতিন প্রসাদের মতো নেতা বিজেপিতে যোগ দিলেন। উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনের আগে জিতিনের চলে যাওয়া কংগ্রেসের জন্য মোটেও সুখকর নয়। জিতিন প্রসাদের যাওয়াতে উৎসাহিত হয়ে রাজস্থানের শচীন পাইলট কী করবেন? মহারাষ্ট্রের মিলিন্দ দেওরা কী করবেন? জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া চলে যাওয়ার পর নবীন প্রজন্মের নেতাদের রাহুলকে পরিত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার যে হাওয়া উঠেছিল- তা কি আবার তীব্র হয়ে উঠবে?
মূল প্রশ্ন, রাহুল গান্ধীর ভূমিকা তাহলে কী? রাহুল গান্ধী কংগ্রেসের সভাপতি পদে নেই। অন্য কোনও নেতাও কংগ্রেসের সভাপতি হচ্ছেন না। সত্যিই রাজনীতিতে যদি রাহুল গান্ধীর উৎসাহ না থাকে, তাহলে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তিনি টুইট কেন করছেন? কেবলমাত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় টুইট করে বিজেপির মতো রাজনৈতিক শক্তির মোকাবিলা করা যায়? বিজেপির যখন লোকসভায় দু’টি আসন, তখন থেকেই এই রাজনৈতিক দলকে আমি দেখেছি, এবং কভার করেছি। এখন বিজেপি তিনশোর বেশি আসন পেয়ে এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল। নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় এসেছেন, তাঁর সঙ্গে অমিত শাহ-র মতো যোগ্য সেনাপতি আছেন, ভোটযুদ্ধে বিজেপির রণকৌশল তৈরি করতে যিনি সিদ্ধহস্ত। তাঁরা সারাদিন কাজ করেন, রাহুল গান্ধীর মতো পার্টটাইম রাজনীতি করেন না। রাহুল গান্ধী সম্পর্কে একটা পারসেপশন তৈরি হয়েছে- একদিন রাজনীতি করে চারদিন বিদেশে ছুটি কাটাতে যেতে হয় তাঁকে। এই দৃষ্টিভঙ্গি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিজেপি তৈরি করেছে, এমন যদি বলা হয়, তাহলে বিজেপির সোশ্যাল মিডিয়াকে কৃতিত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু অমিত মালব্যর জন্য রাহুল গান্ধী মোদির মোকাবিলা করতে পারছেন না- এই যুক্তি অসার।
বিরোধী ঐক্য রচনার জন্য রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) বা কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বর ভূমিকা কী? ইউপিএ-কে পুনরুজ্জীবিত করা, ইউপিএ-র নতুন কনভেনর নিয়োগ করা ইত্যাদি কবে হবে? আহমদ প্যাটেল প্রয়াত হওয়ার পর সেই জায়গায় এখনও কাউকে নিয়ে আনা হয়নি। প্রবীণ এবং নবীনের মেলবন্ধন করারও কোনও প্রয়াস নেই। কমলনাথের মতো প্রবীণ নেতাও ক্ষুব্ধ হয়ে একদিকে সরে বসে রয়েছেন। গুলাম নবি আজাদ, কপিল সিব্বল, রাজ বব্বরের মতো ৩৪ জন বিক্ষুব্ধ নেতা রয়েছেন অন্যদিকে। তাঁদের মধ্যে গুলাম নবি আজাদকে সামনে নিয়ে আসার চেষ্টা চলছে। তাঁকে কোভিড ম্যানেজমেন্ট টাস্ক ফোর্সের চেয়ারম্যান করা হয়েছে। কিন্তু এটুকুই যথেষ্ট নয়। পশ্চিমবঙ্গের কথা ছেড়েই দিলাম, অসমে, কেরলে- সর্বত্র বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ভয়ংকরভাবে পর্যুদস্ত হল। তারপরেও কংগ্রেসের মধ্যে পুনরুজ্জীবিত হওয়ার জন্য কোনও নীল নকশা রচনার উৎসাহ দেখা যাচ্ছে না।
প্রশ্ন একটাই, এখন তাহলে কংগ্রেসের রণকৌশল কী হবে? কংগ্রেস শতবর্ষ-প্রাচীন একটা দল। যে দলকে রজনী কোঠারির মতো রাষ্ট্রবিজ্ঞানী একদা বলেছিলেন, ‘কংগ্রেস সিস্টেম’, যা ভারতজুড়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এখন কংগ্রেসের ছেঁড়া তমসুক আমরা দেখতে পাই। সেখান থেকে কংগ্রেসের পুনরুজ্জীবিত হয়ে ওঠার কি কোনও সম্ভাবনা আদৌ আছে?
বিজেপির বৃদ্ধির লেখচিত্রে দেখা যাবে, বিজেপি দুই থেকে ২০০ হয়েছে। এখনও কয়েকটি রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় আছে, কিছু রাজ্যে আবার ক্ষমতাচ্যুতও হয়েছে। কিন্তু সার্বিকভাবে বিজেপির রাজনৈতিক বৃদ্ধির লেখচিত্র বেড়েই চলেছে। বিজেপির সর্বভারতীয় রাজনৈতিক শক্তি হ্রাস পায়নি। এখনও সে নজির দেখিনি! দেশের চালচিত্রে কংগ্রেস যেখানে একেবারে শেষ হতে চলেছে, সেখানে বিজেপির রাজনৈতিক ইতিহাস বৃদ্ধির ইতিহাস।
সুতরাং, বিজেপির মোকাবিলা করতে গেলে বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই ঐক্য দেখা যাচ্ছে না। পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিজয়লাভের পর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে একটা বিরোধী ঐক্য গড়ার আলোচনা শুরু হয়েছে। অন্য রাজ্যের বিরোধী নেতারা এখনও পর্যন্ত মমতার পক্ষে। কিন্তু বিজেপি যেভাবে পশ্চিমবঙ্গে সক্রিয়ভাবে আক্রমণাত্মক মমতা-বিরোধী রাজনীতি করছে, তার বিরুদ্ধে বিরোধীদের একজোট হয়ে মাঠে নামার লক্ষণ এখনও দেখতে পাচ্ছি না। অন্য সমস্ত বিরোধী নেতা, বিশেষত রাহুল গান্ধী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘নেত্রী’ হিসাবে মেনে নিতে প্রস্তুত কি না- তাও বোঝার দরকার রয়েছে। পরিস্থিতি নেতা তৈরি করে। পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে মমতার বিপুল বিজয় সেই পরিস্থিতির জন্ম দিয়েছে। সেই পরিস্থিতিকে আগামী ২০২৪ সালের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন সুচিন্তিত রণকৌশল। যে-দলের মোকাবিলা করতে হচ্ছে, সেই দলকে কোনওভাবেই আন্ডারএস্টিমেট করা যায় না। পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি মমতাকে আন্ডারএস্টিমেট করে সুফল পায়নি। ২০২৪ সালে মোদিকে আন্ডারএস্টিমেট করাটাও বিরোধীদের অনুচিত হবে। ২০২৪ সালে ‘মোদি হঠাও’ বললেই মোদিকে হঠানো সম্ভব হবে, তা নয়।