সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: ভোটের মুখে রাজস্থান বিবাদ মেটাতে কড়া অবস্থান নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কংগ্রেস (Congress) হাই কম্যান্ড। শচীন পাইলট এবং অশোক গেহলট, দুই যুযুধান শিবিরকেই বলে দেওয়া হল কোনওরকম অনুশাসনহীনতা বা বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করা হবে না। সবাইকে মিলেমিশে কাজ করতে হবে। এমনকী আসন বণ্টনের ক্ষেত্রেও কোনও শিবিরকে প্রধান্য দেওয়া হবে না। বরং প্রাধান্য দেওয়া হবে জয়ের সম্ভাবনাকে।
রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচনের আর মাস ছ’য়েক বাকি। এখনও সেরাজ্যে পাইলট এবং গেহলট শিবির নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে জর্জরিত। সমস্যা মেটাতে শচীন পাইলট (Sachin Pilot) এবং অশোক গেহলট (Ashok Gehlot) দুই বিবাদমান শিবিরকেই বৃহস্পতিবার দিল্লিতে তলব করে কংগ্রেস হাই কোর্ট। মুখ্যমন্ত্রীর হাঁটুতে চোট থাকায় তিনি আসতে পারেননি। ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠকে ছিলেন তিনি। প্রায় ৪ ঘণ্টার বৈঠকে যোগ দেন রাজস্থানের ২৯ জন নেতা। উপস্থিত ছিলেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi), মল্লিকার্জুন খাড়গে, কেসি বেণুগোপাল।
[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতে বামেদের হয়ে ভোট চাইলেন বহিষ্কৃত বামনেতা লক্ষ্মণ শেঠ! ব্যাপারটা কী?]
সূত্রের খবর, শচীন পাইলট এদিনের বৈঠকে খোলাখুলিই নিজের জন্য বড় পদ এবং টিকিট বণ্টনে তাঁর শিবিরকে গুরুত্ব দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। সূত্রের খবর, দল তাঁকে কোনও সাংগঠনিক পদ দেওয়ার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করতে পারে। কিন্তু দলের তরফে স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে, ভোটের আগে কোনও রাজ্যেই নেতার নাম ঘোষণা করে না কংগ্রেস। রাজস্থানেও করা হবে না। যৌথ নেতৃত্ব নিয়েই মানুষের কাছে যেতে হবে। সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। ঐক্যবদ্ধ লড়াই করলে রাজস্থানের দীর্ঘদিনের রীতি বদলে কংগ্রেস ক্ষমতায় ফিরতে পারে বলে মনে করছে নেতৃত্ব। কংগ্রেস হাই কম্যান্ডের সাফ বার্তা, কোনও অসন্তোষ থাকলে সেটা দলের অন্দরেই বলতে হবে। সরকার বা দল, অসন্তোষ যার প্রতিই হোক, সেটা বলতে হবে দলের অন্দরেই।
[আরও পড়ুন: ‘চারদিকে বামেরা জিতবে’, মমতার বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছেন খোদ ‘রাজ্য সরকার’]
অর্থাৎ পাইলটকে বুঝিয়ে দেওয়া হল, ভোটের আগে তাঁর কোনওরকম ‘বাড়াবাড়ি’ মেনে নেওয়া হবে না। আবার একই সঙ্গে গেহলটকেও নাকি বলে দেওয়া হয়েছে পাইলটের দাবিদাওয়া নিয়ে সরকারি স্তরে ব্যবস্থা নিতে হবে। দুই শিবিরকেই স্পষ্ট বলা হয়েছে, মিলে-মিশে কাজ করতে হবে। দলের প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়া হবে জয়ের সম্ভাবনার উপর। সেপ্টেম্বরের শুরুতেই দলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কংগ্রেস। বৈঠক শেষে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের ভূমিকায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন পাইলট। তিনি বলেছেন, ‘দল যে আমার কথা গুরুত্ব দিয়ে শুনেছে, তাতে আমি খুশি।’