সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশে আসনরফা চূড়ান্ত। আপের সঙ্গে দিল্লি, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, গুজরাট, গোয়ায় রফা হয়ে গিয়েছে। তামিলনাড়ু, বিহার, ঝাড়খণ্ডে জোট শরিকদের সঙ্গে কোনও সমস্যা নেই কংগ্রেসের। মহারাষ্ট্র এবং বাংলা নিয়েও কথা চলছে। মোট কথা লোকসভা ভোট (Lok Sabha 2024) ঘোষণার ১৫-২০ দিন আগেই বেশ গোছানো মনে হচ্ছে ইন্ডিয়া (INDIA) জোটকে। কিছুদিন আগেই যে জোটের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল, সেই জোট এখন বেশ সংঘবদ্ধ শক্তি। অথচ এর ঠিক উলটো ছবি এনডিএতে।
বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব এখনও কোনও জোটসঙ্গীর সঙ্গেই রফা চূড়ান্ত করতে পারেনি। বা চূড়ান্ত হলেও সেটা ঘোষণা হয়নি। অধিকাংশ রাজ্যেই বিজেপি জোট সঙ্গীদের সঙ্গে আলোচনা করেছে। কিন্তু চূড়ান্ত কোনও ফয়সলা হয়নি। সেটা নিয়েই এবার কটাক্ষ ছুঁড়ল কংগ্রেস (Congress)। কংগ্রেসের সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল বলছেন, এনডিএতে হচ্ছেটা কী? কেন ওই দুর্নীতিগ্রস্ত, দিশাহীন দলগুলি নিজেদের মধ্যে চুক্তি করতে পারছে না। কেন এখনও বিহারে আসনরফা ঘোষণা হয়নি? মহারাষ্ট্রে যেখানে কিনা ওরা গণতন্ত্রকে পদদলিত করে রেখেচে সেখানেই বা কেন আসনরফা হল না? নাকি জোটসঙ্গীরা বিজেপিকে পণবন্দি করে ফেলেছে?
[আরও পড়ুন: হাতুড়ে ডাক্তার থেকে জমি ‘লুটেরা’ শাহজাহানের ভাই সিরাজ, ‘তৃণমূলের কেউ নন’, দাবি পার্থ-সুজিতের]
আসলে বিজেপি অধিকাংশ রাজ্যেই পরস্পর বিরোধী শিবিরকে জোটে ভিড়িয়েছে। ফলে ওই রাজ্যগুলিতে অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্টের অবস্থা। যেমন মহারাষ্ট্রে বিজেপি, শিব সেনার শিণ্ডে শিবির এবং এনসিপির অজিত পওয়ার শিবিরের মধ্যে আসনরফা নিয়ে বিবাদ তুঙ্গে। আবার বিহারে নীতীশ কুমারের এনডিএতে প্রত্যাবর্তনে অখুশি চিরাগ পাসওয়ান, জিতন রাম মাঝিরা। তাঁরা নীতীশকে বেশি আসন ছাড়তে রাজি নয়। ফলে সেরাজ্যেও রফাসূত্র বেরোয়নি। অন্ধ্রেও জগনমোহন রেড্ডি না চন্দ্রবাবু নায়ডু, দুই শিবিরকে নিয়ে সংশয়ে গেরুয়া শিবির। একই ছবি উত্তরপ্রদেশেও।
[আরও পড়ুন: ‘জমি নিয়ে থাকলে ফেরত দিন’, সন্দেশখালি গিয়ে অভিষেকের বার্তা শোনালেন সেচমন্ত্রী]
আবার পাঞ্জাব, তামিলনাড়ুতে বিজেপির জোট শরিকদের অতীত অভিজ্ঞতা ভালো নয়। ফলে বহু আলোচনাতেও পাঞ্জাবে অকালি দল এবং তামিলনাড়ুতে এআইএডিএমকের (AIADMK) সঙ্গে আসনরফা হয়নি। তাছাড়া এবার ৪০০ আসন জয়ের লক্ষ্যে নিজেরা অনেক বেশি আসনে লড়তে চায় গেরুয়া শিবির। সেকারণেও সমস্যা হচ্ছে আসনরফায়। সব মিলিয়ে ভাঙাচোরা অবস্থা এনডিএর। সেটাকেই কটাক্ষ করল কংগ্রেস।