সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘ ৪৬ বছরের প্রতিক্ষার অবসান! খুলে গেল পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের বহু আলোচিত রত্নভাণ্ডার। দেবধনের মতোই মন্দিরের 'গুপ্তধন' নিয়েও গোটা দেশের ভক্তজনদের মধ্যে কৌতূহলের অন্ত ছিল না। তার উপর কতকটা গুপ্তধনের সিন্দুক ভাঙার কায়দাতেই চাবি না পেয়ে তালা ভাঙা হল রত্নভান্ডারের ভিতরের কক্ষে প্রবেশের দরজার। এর পরই সেখানে ঢোকেন ১১ সদস্যের কমিটি।
প্রায় অর্ধশতক যে প্রকোষ্ঠ খোলা হয়নি সেখানে সাপখোপ থাকতে পারে, সেই সতর্কতায় ডাক পড়েছিল সর্প বিশেষজ্ঞদেরও। যদিও সেই বিপদ ঘটেনি। তবে দরজা খুলতেই ১১ সদস্যের কমিটিকে 'স্বাগত' জানায় ঝাঁক ঝাঁক বাদুড়। আগেই জানা গিয়েছিল, রত্নভাণ্ডারের দরজা খোলা হয়েছে ‘পবিত্র মুহূর্ত’ দুপুর ১টা বেজে ২৮ মিনিটে। বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত রত্নভাণ্ডারের ভিতরেই ছিল ১১ সদস্যের কমিটি। জানা গিয়েছে, চার ঘণ্টায় বাইরের রত্নকক্ষে থাকা অলঙ্কারসামগ্রী সিন্দুকে ভরে পাঠিয়ে দেওয়া হয় মন্দির চত্বরে অস্থায়ী ভাবে নির্মিত একটি সুরক্ষিত ‘ভল্টে’। কিন্ত কোটি টাকার প্রশ্ন হল, কী কী আছে পুরীর বহু আলোচিত রতন ভান্ডারে?
[আরও পড়ুন: ১০০ মিলিয়ন পার! X হ্যান্ডেলে ফলোয়ার্সের নিরিখে বিশ্বসেরা মোদি, ধারেকাছে কেউ নেই]
এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত বিশেষজ্ঞ কমিটির তরফে সরকারি ঘোষণা না হলেও নানা সূত্রে সোনা-হিরে-মণি-মুক্তের অলঙ্কারের হিসেব মিলছে। ১৮০ রকমের বহুমূল্য গয়না রয়েছে ভাণ্ডারে। এর মধ্যে ৭৪ রকমের ভারী সোনার গয়না। কোনও কোনও গয়নার ওজন ১০০ তোলা অর্থাৎ দেড় কোজি অবধি। বাইরের প্রকোষ্ঠে জগন্নাথের একটি সোনার মুকুট এবং তিনটি সোনার হরিদকণ্ঠী মালা। জগন্নাথদেব এবং বলভদ্রের সোনার শ্রীভুজ বা হাত এবং শ্রীপয়ার বা পা-ও রয়েছে রত্নভান্ডারে। অনঙ্গভীম দেব জগন্নাথদেবের অলঙ্কার তৈরির জন্য প্রায় দেড় হাজার কেজি সোনা দিয়েছিলেন মন্দির কর্তৃপক্ষকে। সেই সোনা রত্নভাণ্ডারেই থাকার কথা। রয়েছে সোনা, হিরে, প্রবাল, মুক্তো দিয়ে তৈরি ‘প্লেট’। ১৪০টি ভারী রূপোর গহনাও রয়েছে মন্দিরের ভিতরের রত্নকক্ষে।