সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক’দিন আগে মার্ক জুকারবার্গের (Mark Zuckerberg) সংস্থা মেটার (Meta) ভারতের প্রধান অজিত মোহন (Ajit Mohan) পদত্যাগ করেন। এবার ভারতে হোয়াটসঅ্যাপের (Whatsapp) প্রধান পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন অভিজিৎ বসু (Abhijit Bose)। এদিকে আজই ইস্তফা দিয়েছেন মেটা ইন্ডিয়ার পাবলিক পলিসির ডিরেক্টর রাজীব আগরওয়াল (Rajiv Aggarwal)। এক বিবৃতিতে অভিজিৎ ও রাজীবের পদ ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছে সংস্থা।

মেটা-র বিবৃতি অনুযায়ী রাজীব অগরওয়াল কর্মক্ষেত্রের নতুন সুযোগ কাজে লাগাতে পুরনো সংস্থা ছাড়ছেন। পুরনো কর্মীকে ভবিষ্যতের সাফল্য কামনায় শুভেচ্ছা জানিয়েছে মেটা। পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপের প্রধান পরিচালক উইল ক্যাচকার্ট (Will Cathcart) ধন্যবাদ জানিয়েছেন অভিজিৎ বসুকে। জনপ্রিয় বার্তাপ্রেরণকারী সংস্থার ভারতে প্রাক্তন প্রধানের অবদানের জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানান তিনি। এইসঙ্গে টেক জায়েন্ট সংস্থা মেটা ঘোষণা করেছে, হোটাসঅ্যাপের পাবলিক পলিসি প্রধান শিবনাথ ঠুকরাল (Shivnath Thukral) এবার থেকে মেটার সবকটি প্লাটফর্মের পাবলিক পলিসি প্রধান হিসেবে কাজ করবেন।
[আরও পড়ুন: সমাজমাধ্যমে ‘উদার’, ‘নারীবাদী’ আফতাব, মুখোশ খুলল দিল্লিতে তরুণীকে নৃশংস হত্যার পর!]
মেটার প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থায় যোগ দিতে পারেন অজিত মোহন, তাঁর পদ ছাড়ার পর এমনটাই সোনা গিয়েছিল। সংস্থা ‘স্ন্যাপ’-এ (Snap) তাঁর যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা প্রবল বলে মনে করা হচ্ছে। যেহেতু এই সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মটি দীর্ঘ সময় ধরে ভারতের বাণিজ্য বৃদ্ধির চেষ্টা করছে। সেক্ষেত্রে অজিত মোহনের অভিজ্ঞতা তাদের আশা পূরণে। এদিকে মঙ্গলবারই অভিজিৎ বসু তার লিঙ্কডিন প্রোফাইলে মেটা ছাড়ার কথা জানিয়েছেন। তিনি যে পরবর্তী কর্মক্ষেত্রে যোগ দেওয়ার বিষয়ে রীতিমতো উত্তেজিত, তাও বুঝিয়ে দিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: এবার বড়সড় ছাঁটাইয়ের পথে আমাজন, এক ধাক্কায় চাকরি খোয়াতে চলেছেন ১০ হাজার কর্মী]
কেবল উচ্চপদস্থদের ক্ষেত্রেই নয়, ক’দিন আগে সার্বিক ভাবেও কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটেছে ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপ-ইনস্টাগ্রামের মালিকাধীন সংস্থা মেটা (Meta)। এক ধাক্কায় ১১ হাজারেরও বেশি কর্মী ছাঁটাই করেছে তারা। যা সংস্থার মোট কর্মী সংখ্যার ১৩ শতাংশ। ।যার পর মেটার চিফ এক্সিকিউটিভ মার্ক জুকারবার্গ একটি ব্লগ পোস্টে দাবি করেন, সংস্থার উন্নতির জন্যই ঐতিহাসিক কর্মী ছাঁটাইয়ের পদক্ষেপ করেছেন। গণছাঁটাইয়ের পর দুঃখ প্রকাশ করেন জুকারবার্গ।