সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এ যেন ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি।৯ বছর আগে পি চিদম্বরম যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন তখন সোহরাবুদ্দিন শেখ ভুয়ো সংঘর্ষ মামলায় গ্রেপ্তার হন বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেসময়, অমিত শাহ গুজরাট মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের মন্ত্রী ছিলেন। ঠিক দশ বছর পর, মুদ্রার উলটো পিঠ দেখলেন চিদম্বরম। এবারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দায়িত্বে অমিত শাহ। আর অভিযুক্তের আসনে চিদম্বরম নিজেই। পার্থক্য হল, সমন পাওয়ার পর অমিত শাহ নিজেই সিবিআই দপ্তরে হাজির হন, আর চিদম্বরমকে বাড়ির দেওয়াল টপকে গিয়ে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। অনেকেই বলছেন, নয় বছর আগের সেই ঘঠনার বদলা নিলেন অমিত শাহ। কেউ কেউ আবার বলছেন, কর্মফল পেলেন চিদম্বরম।
[আরও পড়ুন: চূড়ান্ত নাটকীয়তার অবসান, পাঁচিল টপকে ঢুকে চিদম্বরমকে গ্রেপ্তার করল সিবিআই]
কাল সারাদিনই সোশ্যাল মিডিয়া ট্রেন্ডিংয়ে সবার উপরে ছিল পি চিদম্বরমের গ্রেপ্তারির ঘটনা। অমিত শাহকে গ্রেপ্তারির পুরনো ঘটনা মনে করিয়ে দিয়ে চিদম্বরমের গ্রেপ্তারিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন নেটিজেনরা। বুধবার রাত ১০টা বেজে ১৬ মিনিটে চিদম্বরমের গ্রেপ্তারির পর ফেসবুক টুইটার ছেয়ে যায় পুরনো দুটি ছবিতে। প্রথমটি ২০১০ সালের। তখন দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন চিদম্বরম। সোহরাবুদ্দিন শেখ ভুয়ো সংঘর্ষ মামলায় প্রধান অভিযুক্ত অমিত শাহকে গ্রেপ্তার করিয়েছিলেন তিনি। অমিত শাহকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার সেই পুরনো ছবি পোস্ট করা হয় এদিন। তার পাশাপাশি দেওয়া হয় চিদম্বরমের এদিনের গ্রেপ্তারির ছবি।
[আরও পড়ুন: ২৭ ঘণ্টা পর হদিশ মিলল চিদম্বরমের, আইএনএক্স মামলায় অভিযোগ অস্বীকার]
বহু জায়গায় টুইট করা হয়, “একেই বলে কর্মফল”। কেউ লেখেন, ইটের বদলে পাটকেল। সংখ্যাগরিষ্ঠ নেটিজেনের দাবি, মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে অমিত শাহকে জেলে পাঠিয়েছিলেন পি চিদম্বরম। এবার সত্যিকারের মামলায় ফেঁসে নিজেই জেলে যেতে বাধ্য হলেন। কেউ লেখেন, একেই বলে নিয়তির পরিহাস। চিদম্বরমের দাবি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরেই তাঁকে গ্রেপ্তার হয়েছে। একই দাবি ৯ বছর আগে করেছিলেন অমিত শাহও।গ্রেপ্তার হয়ে গুজরাট আগে বিজেপি দপ্তরে বসে বলে যান, তাঁর বিরুদ্ধে সব অভিযোগ মিথ্যা। বিজেপি সভাপতি কিছুদিন পরেই বেকসুর ছাড়া পেয়ে যান। চিদম্বরমের সে সৌভাগ্য হয় কিনা সেটাই এখন দেখার।
The post ৯ বছর আগে গ্রেপ্তার করিয়েছিলেন চিদম্বরম, এবার বদলা নিলেন শাহ! appeared first on Sangbad Pratidin.