সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত শনিবার রাত থেকে অন্ধ্রপ্রদেশে (Andhra Pradesh) হানা দেওয়া ‘রহস্যময়’ অসুখের প্রকোপে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এপর্যন্ত ৫৯৩ জনকে হাসপাতালে ভরতি হতে হয়েছে। মারা গিয়েছেন একজন। এখনও পর্যন্ত মনে করা হচ্ছিল, কীটনাশকে থাকা শিসা ও নিকেলের কারণেই এই অসুস্থতা। কিন্তু এবার অন্য দাবি করল WHO।
মঙ্গলবার রাজ্যের এলুরু (Eluru) শহরে এসেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দুই প্রতিনিধি। তাঁরা আক্রান্ত এলাকাগুলি সরেজমিনে তদন্ত করেছেন। আক্রান্তদের শারীরিক পরিস্থিতি এবং তাঁরা কী খাবার খেয়েছিলেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানার পরে ওই প্রতিনিধিদলের সন্দেহ, এর পিছনে হয়তো রয়েছে ব্লিচিং পাউডার ও ক্লোরিন।
[আরও পড়ুন: কৃষক বিক্ষোভের নেপথ্যে চিন-পাকিস্তানের ষড়যন্ত্র! এবার বললেন খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী]
অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডি একটি ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন ওই প্রতিনিধিদের সঙ্গে। তাঁরা ছাড়াও ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিল এইমসের প্রতিনিধি দল। এছাড়াও বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি দল, যারা এলুরুতে এসেছে রোগটির আসল কারণ খুঁজতে, তারা সকলেই কথা বলেছে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। ওই বৈঠকেই ‘হু’-র প্রতিনিধিরা জানান, তাঁদের সন্দেহ কোভিড (Covid-19) রুখতে স্যানিটাইজেশনের জন্য ছড়ানো ব্লিচিং পাউডার ও ক্লোরিন থেকেই সম্ভবত এই অসুখের উৎপত্তি।
শনিবার রাত থেকে হঠাৎই রাজ্যের পশ্চিম গোদাবরী জেলার এলুরুতে আক্রান্ত হতে শুরু করেন বহু মানুষ। আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছে বহু শিশুও। ‘রহস্যময়’ এই অসুখ নিয়ে উদ্বিগ্ন অন্ধ্র সরকার। তাই এর সঠিক উৎস খুঁজে বের করতে মরিয়া প্রশাসন। ঠিক কী কী লক্ষণ দেখা যাচ্ছে আক্রান্তদের মধ্যে? জানা গিয়েছে মাথা ঘোরা, মাথা যন্ত্রণা, বমি বমি ভাব ও অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো উপসর্গের কথা। এদিকে জেলা প্রশাসন দাবি করেছে, গত নভেম্বরের শেষ সপ্তাহেও নাকি এমন রোগের উপসর্গ দেখা দিয়েছিল ওই এলাকায়। যদিও সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক। তাদের ব্যাখ্যা, আগের ক্ষেত্রে আক্রান্তদের পূর্ব ইতিহাস পাওয়া গিয়েছিল। তাই একে নতুন অসুখটির সঙ্গে মেলালে ভুল হবে।