সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথম জীবনে সিপিএমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। রাজ্যে পালাবদলের পর তৃণমূলে যোগ। জয়নগরের নিহত অঞ্চল সভাপতি সইফউদ্দিন লস্করকে সেলাম ঠুকত পুলিশও! ‘ডাকমাস্টার’ নামে পরিচিত তৃণমূল নেতার উত্থানের কাহিনি যেন সিনেমাকেও হার মানায়।
বাম আমলে এলাকায় সক্রিয় সিপিএম নেতা হিসাবে পরিচিত ছিলেন সইফউদ্দিন লস্কর। এর পর শাসকদলে যোগ দেন। মাত্র কয়েকদিনেই তৃণমূল নেতা হিসাবে নামডাক হয় তাঁর। রাজনীতি ছাড়াও পোস্টমাস্টারের কাজ করতেন। সেই সময় পুলিশের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। জেলার পুলিশ মহলে ‘ডাকমাস্টার’ বলে পরিচিতি পান। সকলেই নাকি বেশ সমীহ করে চলতেন তাঁকে। পুলিশ থেকে স্থানীয় নেতা-কর্মী সকলের মুখে মুখে ঘুরত তাঁর নাম। এর পর ২০১৮ সালে তাঁর স্ত্রী দাঁড়ান পঞ্চায়েত নির্বাচনে। সইফউদ্দিনের স্ত্রী পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে লড়েন। জিতেও যান। পান প্রধান পদ। গত পঞ্চায়েত ভোটে লড়েন খোদ সইফউদ্দিন। পঞ্চায়েত সদস্য হন। স্ত্রী হন প্রধান। ওই তৃণমূল নেতার অনুগামীর সংখ্যাও নেহাত কম নয়।
[আরও পড়ুন: তৃণমূল নেতার ‘খুনি’কে পিটিয়ে মারল জনতা, জোড়া খুনে জ্বলছে জয়নগর]
সেই সইফউদ্দিনের খুনের ঘটনায় কার্যত জতুগৃহে পরিণত হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার দলুয়াখাঁকি। নেতা খুনের ‘বদলা’ নিতে কার্যত ‘বগটুই মডেলে’ পুড়ে খাক একের পর এক সিপিএম নেতা-কর্মীর বাড়ি। গোষ্ঠীকোন্দল নাকি বিরোধীরাই পরিকল্পনামাফিক খুন করে তাঁকে, তা নিয়ে চলছে জোর তরজা। সইফউদ্দিনের খুনের কারণের খোঁজে তদন্তকারীরা।