সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বের দরবারে ফের প্রশংসিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগ। করোনা সংক্রমণ রুখতে ভারতের আরোগ্য সেতু অ্যাপের প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এই অ্যাপ ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আটকাতে সরকারকে বিরাট সাহায্য করেছে বলেই মত তাঁদের। অথচ এই অ্যাপ চালু হওয়ার পর থেকে নাগরিকদের ব্যক্তিগত পরিসর নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন বিরোধীরা।
লকডাউন চলাকালীন আরোগ্য সেতু অ্যাপ লঞ্চ করে কেন্দ্র সরকার। করোনা সংক্রমিত, তাঁদের সংস্পর্শে আসা লোকজন ও কোভিড হটস্পট চিহ্নিত করার লক্ষ্যেই অ্যাপটি আনা হয়। সরকারি, বেসরকারি কর্মচারি ও কনটেনমেন্ট এলাকার মানুষজনের জন্যে বাধ্যতামূলক করা হয় ওই অ্যাপ। প্রথমে নানা মহল থেকে গোপনীয়তার নষ্টের অভিযোগ উঠলেও কিছুদিনের মধ্যে অ্যাপটি প্রায় ১২ কোটি মানুষ ডাউনলোড করে। বর্তমানে সংখ্যাটা ১৫ কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে। এই অ্যাপ লঞ্চ করার কিছুদিনের মধ্যেই তা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড করা অ্য়াপের শীর্ষে চলে আসে। পরে খতিয়ে দেখা যায়, দেশের কোভিড হটস্পটগুলি চিহ্নিত করতে সাহায্য করছে এই অ্যাপ। আর অ্যাপের এই ভূমিকারই উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন WHO-এর ডিরেক্টর টেড্রোজ আধানম ঘেব্রিয়েসুস।
[আরও পড়ুন : গুগল ম্যাপ দেবে কনটেনমেন্ট জোনের হদিস, জানেন কীভাবে দেখবেন?]
হু-র ডিরেক্টর টেড্রোজ আধানম ঘেব্রিয়েসুস বলেন, “করোনা রোগীদের চিহ্নিত করতে ভারত সরকার চালু করেছিল আরোগ্য সেতু অ্যাপ। এর ফলে করোনা ভাইরাস ক্লাস্টার চিহ্নিত করতে ও করোনা টেস্টের সংখ্যা বাড়ানো অনেক সহজ হয়েছে। প্রায় ১৫ কোটি মানুষ ইতিমধ্যে এই অ্যাপ ডাউনলোড করেছেন।” তিনি আরও জানিয়েছেন, এই অ্যাপের কার্যকারিতার ফলেই দেশে দ্বিতীয় দফা করোনা সংক্রমণের ঢেউ রুখে দেওয়া গিয়েছে। করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ধাক্কা সহজেই রুখে দিতে পারবে। হু-এর ডিরেক্টর বিশ্বের অন্যান্য দেশকেও করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে ডিজিটাল অ্যাপের সাহায্য নিতে পরামর্শ দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, একই ধরনের অ্যাপ লঞ্চ করেছে জার্মানি ও ব্রিটেন।