সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আম্মার প্রয়াণের পর থেকেই তাঁর স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির মালিকানা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। তাঁর বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি কে বা কারা পাবে, তা নিয়ে জলঘোলা অব্যাহত। কিছুটা সম্পত্তি প্রয়াত জয়ললিতার ছায়াসঙ্গী শশীকলা নটরাজন পেতে পারেন বলে আশা করা হচ্ছে। আবার অনেকে মনে করছেন তাঁর দত্তক পুত্র ভি এন সুধাকরণও উত্তরাধিকার সূত্রে কিছু সম্পত্তির মালিক হতে পারেন।
সম্পত্তি নিয়ে রাজনৈতিকভাবে একাধিকবার বেকায়দায় পড়েছিলেন তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। প্রতিপক্ষ তাঁকে এ ব্যাপারে রীতিমতো নাজেহাল করে ছেড়েছিল। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতি নেই সম্পত্তির, বিরোধীদের এ দাবিতে বহুবার বিপাকে পড়তে হয়েছিল জয়ললিতাকে। সেই সংক্রান্ত কিছু মামলা এখনও চলছে। এর আগে জানা গিয়েছিল, মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আম্মার প্রায় ৬ কোটি টাকার গয়না আদালতের অধীনেই থাকবে। এবার প্রশ্ন উঠল আম্মার সাড়ে দশ হাজার শাড়ি, সাড়ে সাতশো জুতো এবং ৫০০ ওয়াইনের গ্লাসের মালিকানা নিয়ে।
১৯৯৬ সালে তল্লাশি চালিয়ে জয়ললিতার এই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিলেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। ২০০২ সালে নিরপেক্ষতার দাবিতে মামলাটি তামিলনাড়ু থেকে কর্নাটকের আদালতে স্থানান্তরিত হলে গয়না-সহ বাজেয়াপ্ত ওই সম্পত্তি সরকারের হাতে তুলে দেয় আয়কর দফতর। তারপর থেকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলা চলাকালীন এই সম্পত্তি কর্নাটক আদালতের জিম্মাতেই রয়েছে। সেই সম্পত্তি এখন আগলে রেখেছে কর্নাটক পুলিশ। নগর দায়রা আদালতের একতলায় রাখা আম্মার শাড়ি, জুতো ও গ্লাস।
এআইএডিএমকে নেতাদের ইচ্ছে, শীর্ষ আদালতের রায়ের পরই জয়ললিতার স্মৃতির উদ্দেশ্যে একটি সংগ্রহশালা তৈরি করে সেখানেই তাঁর ব্যবহৃত সামগ্রী রাখা হবে। তবে রায়ের জন্য অন্তত আগামী বছর জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে।
The post জানেন, কোথায় রয়েছে আম্মার ৬ কোটির গয়না ও ১০,৫০০ শাড়ি? appeared first on Sangbad Pratidin.