সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হরিয়ানায় (Haryana) দুই ব্যক্তিকে গরু পাচারকারী সন্দেহে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় এবার নতুন অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। খুনের অভিযুক্তের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে মারধর করেছে রাজস্থান (Rajasthan) পুলিশ, এমনই দাবি করেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। হেনস্তার জেরে গর্ভস্থ সন্তানটি মারা গিয়েছে বলেও দাবি করেন তাঁরা। তবে এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে রাজস্থান পুলিশ।
রাজস্থান থেকে অপহৃত দুই ব্যক্তিকে হরিয়ানায় গাড়ির ভিতরে পুড়িয়ে মারা হয়। গোরক্ষক দলের সন্দেহ ছিল, গরু পাচারের সঙ্গে জড়িত রয়েছে দুই ব্যক্তি। সেই কারণেই তাঁদের খুন করা হয়। মামলা দায়ের করা হয় শ্রীকান্ত পণ্ডিত নামে এক গোরক্ষক-সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে। তবে এখনও তাঁদের মধ্যে চারজনকে ধরতে পারেনি পুলিশ।
[আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের গ্রেপ্তার ২ এজেন্ট, এবার সিবিআইয়ের জালে তাপস ও নীলাদ্রি]
রাজস্থান ও হরিয়ানা-দুই রাজ্যের পুলিশ যৌথভাবে খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। মূল অভিযুক্ত শ্রীকান্তের মায়ের দাবি, তাঁদের পরিবারকে হেনস্তা করেছে রাজস্থান পুলিশের ৪০ সদস্যের একটি দল। তিনি বলেন, “আমার দুই নির্দোষ ছেলেকে আটকে রেখেছে পুলিশ। অন্তঃসত্ত্বা বৌমার পেটে লাথিও মারে তারা। এরপরেই পেটে অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয় তার। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত সন্তানের জন্ম হয়। এখনও গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি রয়েছে সে।”
কিন্তু এই অভিযোগ একেবারে উড়িয়ে দিয়েছে রাজস্থান পুলিশ। শ্যাম সিং নামে এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “মূল অভিযুক্ত শ্রীকান্ত বাড়িতে ছিলেন না। দরজা থেকেই তাঁর দুই ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বাড়িতে না ঢুকেই ফিরে আসে পুলিশ। শ্রীকান্তের মায়ের যাবতীয় অভিযোগ মিথ্যা। যেহেতু তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ রয়েছে, তাই সাজানো কথা বলছেন শ্রীকান্তের মা।”