সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আশির কোটা পেরিয়েছেন কাশীবাঈ ধোন্ডি যাদব৷ তাও বেশ কয়েক বছর হল৷ ঠিক করে স্বামীর মুখটাও মনে পড়ে না এখন আর৷ কিন্তু সেই স্বামীর জন্যই জীবনের বেশিরভাগ বসন্ত বিধবা হিসেবে কাটিয়ে দিয়েছেন৷ এতদিন বাদে এসে তাঁর সঙ্গে যুক্ত হল নতুন উপমা, যুদ্ধ-বিধবা৷ সেই সৌজন্যেই ৫৮ বছর বাদে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের নিহত ভারতীয় সৈনিকের স্ত্রী হিসেবে পেনশন পেতে চলেছেন মহারাষ্ট্রের সাংগলি জেলার এই বৃদ্ধা৷
(৮ ফেব্রুয়ারির পর বন্ধ হচ্ছে Gmail!)
১৯৪৫ সালের ৬ জানুয়ারি ইংরেজ সরকারের ৩/৫ মারাঠা লাইট ইনফ্যান্ট্রির সৈনিক হিসেবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে লড়তে গিয়েছিলেন ২৩ বছরের ল্যান্সনায়েক জ্যোতি ঢোন্ডি যাদব৷ কিছুদিন বাদে জানা যায়, আফ্রিকার ওয়েস্টার্ন ফ্রন্টে মৃত্যু হয় তাঁর৷ কাশীবাঈ তখন নাবালিকা ছিলেন৷ স্বামীর মৃত্যুর ১৩ বছর বাদে অবশ্য পেনশন পেতেন কিছু৷ তবে তা সাধারণ পেনশন, মাসে মাত্র ৮ টাকা৷ সময়ের সঙ্গে বেড়ে আজ যা ৮০০০ টাকায় এসে দাঁড়িয়েছে৷
বিষয়টি সামনে আসে যখন সম্প্রতি স্থানীয় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক তাঁকে জানায়, স্বামীর মৃত্যুর শংসাপত্র না দেখাতে পারলে তাঁর পেনশন আটকে দেওয়া হবে৷ আটকে দেওয়াও হয়৷ তখন কাশীবাঈয়ের পোষ্যপুত্র পণ্ডিত রামু যাদব এমএলআই রেজিমেন্টাল সেন্টারে জ্যোতি ঢোন্ডি যাদবের মৃত্যুর শংসাপত্রের জন্য আবেদন করেন৷ বহু কাঠ-খড় পোড়ানোর পর অবশেষে ব্যাঙ্কে জমা দেওয়া হয় সেই শংসাপত্র৷ একমাসে ৩২,০০০ টাকা পেনশন পান কাশীবাঈ৷
(রাষ্ট্রপতির নামে বিশেষ গোলাপ শোভিত হবে মুঘল গার্ডেনে)
কিন্তু ফের বন্ধ হয়ে যায় তাঁর পেনশন৷ এবার বিষয়টির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য সরকারিভাবেই আটকে রাখা হয় পেনশন৷ হাল ছাড়েননি পণ্ডিত, জিলা সৈনিক ওয়েলফেয়ার অফিসারের কাছে এবার আবেদন করেন তিনি৷ সেখানে আবার যাবতীয় প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করা হয়৷ এরপরই ৮৫ বছরের বৃদ্ধাকে ‘যুদ্ধ-বিধবা’র স্বীকৃতি দেওয়া হয়৷ প্রতিরক্ষামন্ত্রকের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়, এবার থেকে যুদ্ধ-বিধবা হিসেবেই যাবতীয় সুবিধা পাবেন কাশীবাঈ৷ এতবছরের পাওনাও হিসেব করে মিটিয়ে দেওয়া হবে৷
(অবৈধভাবে কাশ্মীর দখলে রেখেছে ভারত, অধ্যাপকের মন্তব্যে বিতর্কের ঝড়)
The post ৫৮ বছর বাদে পেনশন পেলেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত সৈনিকের স্ত্রী appeared first on Sangbad Pratidin.