সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘যে কোনও ভাল কাজ করতে গেলেই বাধা আসবে। কিন্তু তার জন্য ওই ভাল কাজ থামানো যাবে না। আমি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এই সমস্যার সমাধানের জন্য।’ অযোধ্যা প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন আর্ট অফ লিভিং-এর প্রতিষ্ঠাতা শ্রী শ্রী রবিশংকর। এদিন লখনউতে মৌলানা এস নদভির সঙ্গে দেখা করতে এসে সাংবাদিকদের একথা জানান তিনি।
[বাবরি-রাম মন্দির বিতর্কে মধ্যস্থতা করতে অযোধ্যায় রবিশঙ্কর]
অযোধ্যায় রাম মন্দির হবে না মসজিদ- এই নিয়ে মধ্যস্থতা করতে এর আগেও একাধিকবার উত্তরপ্রদেশ সফরে গিয়েছেন। তাঁর উদ্যোগ এখনও পর্যন্ত ফলপ্রসূ না হলেও রবিশংকর আশাবাদী, এই সমস্যা ঠিকই মিটে যাবে। তিনি আরও বলছেন, ‘আমাদের সঙ্গে সবপক্ষেরই সু-সম্পর্ক রয়েছে।’ গতবছরের অক্টোবর মাস থেকেই অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে মন্দির-মসজিদ বিবাদের মধ্যস্থতা করতে উদ্যোগী হয়েছেন আর্ট অফ লিভিং-এর প্রাণপুরুষ। তাঁর দাবি, হিন্দু ও মুসলিম- দু’তরফেরই প্রতিক্রিয়া তিনি পেয়েছেন। কীভাবে কোনও সম্প্রদায়েরই ভাবাবেগে আঘাত না মহা রাম মন্দির গড়ে তোলা যায়- সেদিকে নজর দিতে হবে। মুসলিমদের মধ্যেও প্রচুর ভাল মানুষ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
১৯৯২-তে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর থেকেই অযোধ্যায় নিয়ে যুযুধান হিন্দু ও মুসলিম সংগঠন। দু’পক্ষই চায় অযোধ্যায় নিজেদের দাবি কায়েম হোক। জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। তবে আদালতও চায়, কারও ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত না করে বিষয়টি নিয়ে মীমাংসায় পৌঁছতে। আর তাই সব পক্ষকেই আলোচনায় বসে মধ্যস্থতা করার ইঙ্গিত দিয়েছে শীর্ষ আদালত। যদিও হিন্দুদের দাবি, ওই বিতর্কিত জমি আদতে শ্রী রামের জন্মভূমি। তাই সেখানে মন্দির ছাড়া আর কিছুই গড়ে তোলা যাবে না। ১৫২৮-এ বাবরি মসজিদ গড়ে উঠেছিল। ১৯৯২-এর ৬ ডিসেম্বর হিন্দু করসেবকদের তাণ্ডবে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় ওই মসজিদ। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশে প্রবল অশান্তির সূত্রপাত হয়। বিষয়টি এখন সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন। এদিন সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চ আগামী ১৪ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে।
[‘অযোধ্যাতেই হবে রাম মন্দির, অন্যত্র সরুক মসজিদ’]
The post ভাল কাজ করতে গেলে বাধা আসবেই, অযোধ্যা প্রসঙ্গে মন্তব্য রবিশংকরের appeared first on Sangbad Pratidin.