সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্যাপ্টেন কুল। স্বভাবের সঙ্গে মিলিয়েই এই নামে পরিচিত পেয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। আর তিনি যে ঠিক কতটা কুল, তা আর গোটা বিশ্বের কাছে অজানা নেই। বিশ্বকাপ ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে হারানো থেকে টেস্টকে বিদায় জানানো, সবই করেছেন ঠান্ডা মাথায়। বাইশ গজে তাঁকে মেজাজ হারাতে খুব কমই দেখা গিয়েছে। ওয়ানডে ক্যাপ্টেন্সি ছাড়ার পরও যে সেই বরফশীতল স্নায়ুর কোনও পরিবর্তন ঘটেনি তা ফের একবার প্রমাণিত হল রবিবাসরীয় পাল্লেকেলেতে।
টেস্ট থেকে ওয়ানডে, একের পর এক ম্যাচ হারায় তিতিবিরক্ত শ্রীলঙ্কান সমর্থকরা। তৃতীয় একদিনের ম্যাচে হার মানেই সিরিজ হাতছাড়া। আর টিম ইন্ডিয়ার কাছে লঙ্কাবাহিনী যেভাবে পর্যুদস্ত হচ্ছিল, তা কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না মাঠে উপস্থিত শ্রীলঙ্কার ভক্তরা। ভারতের জয়ের জন্য তখন বাকি মাত্র আটটি রান। ব্যস, মাঠে বোতল ছুড়তে শুরু করেন ক্ষুব্ধ দর্শকরা। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় আধ ঘণ্টারও বেশি সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যায় খেলা। ক্রিজে সে সময় ছিলেন রোহিত শর্মা ও ধোনি। সকলে যখন ভাবতে ব্যস্ত আদৌ খেলা শুরু করা যাবে কিনা, তখন ধোনি মাঠের মধ্যে ঘুমোচ্ছেন! এমন দৃশ্যে শুধু দর্শকরাই নন, অবাক প্রাক্তন ক্রিকেটাররাও। আকাশ চোপড়া বলছেন, “একেই বলে ক্যাপ্টেন কুল। তিনি ঘুমিয়ে নিচ্ছেন। আর মনে মনে নিশ্চয়ই বলছেন, বোতল ছোড়া শেষ হলে আমায় ডেকে দিও।” ধোনির কাণ্ড নিয়ে টুইটের বন্যা বয়ে যায়। সকলেই ক্যাপ্টেন কুলের ঠান্ডা স্বভাবের প্রশংসা করেছেন।
[উত্তপ্ত ক্যান্ডিতে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ওয়ানডে সিরিজ জয় বিরাটদের]
শ্রীলঙ্কা সফর তাঁর কাছে অগ্নিপরীক্ষা। আর সেই পরীক্ষায় এখনও পর্যন্ত সফল তিনি। চাপের মুখে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে মূল্যবান রান। বীরেন্দ্র শেহবাগও তাই প্রার্থনা করছেন, ফিট থেকে যেন ২০১৯ বিশ্বকাপও খেলতে পারেন মাহি। ধোনির ফিটনেস প্রসঙ্গে স্মৃতির পাতা উলটে একটি ঘটনার কথা জানালেন নির্বাচনী প্রধান এমএসকে প্রসাদও।
ঢাকায় এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নামার কথা ধোনিবাহিনীর। ঠিক তার আগের দিন শরীরচর্চার সময় পিঠে গুরুতর চোট পান ধোনি। আঘাত এতটাই গুরুতর ছিল যে খুঁড়িয়ে হাঁটছিলেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই চিন্তার ভাঁজ পড়ে নির্বাচকদের কপালে। শেষ মুহূর্তে পরিবর্ত নিতে হবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত নিতেও ইতস্তত করতে থাকেন তাঁরা। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে কি খেলতে পারবেন ধোনি? এ প্রশ্নের উত্তরে ক্যাপ্টেন কুল বলেন, “চিন্তা করার কোনও কারণ নেই।” তা সত্ত্বেও ধোনিকে না জানিয়েই পরিবর্ত হিসেবে বেছে নেওয়া হয় পার্থিব প্যাটেলকে। কিন্তু দাঁতে দাঁত চেপে ধোনি পরের দিন মাঠে নেমেছিলেন। আর প্যাড পরার সময় প্রসাদকে বলেছিলেন, “আমার একটা পা না থাকলেও আমি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলব।” বাকিটা ইতিহাস। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে এসেছিল প্রত্যাশিত জয়।
[জাপানি প্রতিপক্ষের কাছে হার, রুপো পেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল সিন্ধুকে]
The post আমার একটা পা না থাকলেও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলব: ধোনি appeared first on Sangbad Pratidin.