সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির পর এবার মুম্বইয়ের (Mumbai) নিকটবর্তী অঞ্চল সাক্ষী রইল এক নৃশংস হত্যাকাণ্ডের। লিভ ইন সঙ্গীকে খুন (Murder) করে খাটের তলায় দেহ লুকিয়ে রাখার অভিযোগ উঠল ৩৭ বছরের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। হার্দিক শাহ নামের ওই অভিযুক্ত প্রেমিকার দেহটি লুকিয়ে রেখে পালানোর চেষ্টা করলেও শেষরক্ষা হয়নি। রেল পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে তাকে। মহারাষ্ট্রের পালঘরে ঘটেছে এই ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের।
কেন এমন ভয়ংকর পরিণতি হল ৩৮ বছরের ওই তরুণীর? পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মেঘা নামের ওই তরুণী নার্সের কাজ করতেন। কিন্তু হার্দিকের কোনও চাকরি ছিল না। আর এই নিয়েই দু’জনের মধ্যে মাঝে মাঝেই উত্তপ্ত বাদানুবাদ হত। তাঁদের সম্পর্ক তিন বছরের। গত ৬ মাস ধরে তাঁরা লিভ ইন করছিলেন। মাসখানেক হল বর্তমান বাড়িটিতে ভাড়া থাকতেন।
[আরও পড়ুন: বিবিসির অফিসে রাতভর তল্লাশি আয়কর দপ্তরের, ‘গোটা বিশ্ব দেখছে’, খোঁচা বিরোধীদের]
অনুমান, ঘটনার দিন বাদানুবাদের পরই মেঘাকে খুন করে হার্দিক। তারপর সে দেহটি খাটের গদির ভিতরে লুকিয়ে রাখে। ঘরে থাকা কিছু আসবাব বিক্রি করে দিয়ে সেই টাকা নিয়ে পালানোরই মতলব কষেছিল সে। কিন্তু পুলিশের কাছে ততক্ষণে খবর চলে আসে। এরপরই রেল পুলিশ গ্রেপ্তার করে তাকে। হার্দিকের প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, নিয়মিতই মেঘার সঙ্গে তার ঝগড় হত।
মঙ্গলবারই দিল্লিতে ধাবার ফ্রিজের ভিতর থেকে উদ্ধার হয় এক রেস্তরাঁ মালিকের প্রেমিকার টুকরো-টুকরো দেহ। সাহিল গেহলট নামের ওই ধাবা মালিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মনে করা হচ্ছে, প্রমাণ লোপাটের জন্য ধাবার বিরাট ফ্রিজে প্রেমিকার দেহ ভরে রেখে দিয়েছিল সাহিল। সেই ঘটনার পর এবার মুম্বইও সাক্ষী থাকল এক নৃশংস খুনের।